কলকাতা: দেশে ফের একটু একটু করে ফণা তুলছে করোনা। দিল্লি, কেরলে আক্রান্তের হার কপালে ভাঁজ ফেলার মতো। বাংলার পরিস্থিতি তেমন উদ্বেগজনক না হলেও, নজরদারিতে ফাঁক রাখতে রাজি নয় স্বাস্থ্যভবন। রঙের নিরিখে আক্রান্ত এলাকা বাছাই করে চলছে নজরদারি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় রাজ্যের তিন জেলার মোট পাঁচটি এলাকাকে ‘পিঙ্ক স্লিপ’ ধরাল স্বাস্থ্য ভবন। চুপিসারে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রাজ্যের কোনও প্রান্তে মাথাব্যথার কারণ হয়েছে কিনা, তা দেখতে নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।
সেই নজরদারির প্রেক্ষিতে কোভিডের বিপদ বোঝাতে তিন ধরনের রঙের সাহায্য নিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। এই তিন রং হল গোলাপি, কালো এবং সবুজ। কোনও জেলার কোনও এলাকায় এক সপ্তাহে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ১০-এর বেশি হলে সেই এলাকায় কোভিড-উদ্বেগের রং হল গোলাপি।
আক্রান্তের সংখ্যা ৫-এর কম হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নামের তলায় পড়ছে কালো কালির দাগ। আক্রান্তের সংখ্যা ০-১ হলে সেই অঞ্চল সবুজময়।
এই নিরিখে কোন পাঁচটি এলাকা গোলাপি এলাকাভুক্ত একঝলকে দেখে নেওয়া যাক
কোভিডে গোলাপি উদ্বেগ
♦ কলকাতার ৬৯ ওয়ার্ডে ১৫ জন আক্রান্ত
♦ নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এলাকায় কোভিড পজিটিভ ১২
♦ বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় করোনা আক্রান্ত ১২
♦ খড়গপুরে কোভিড পজিটিভ ১৩
♦ লাভপুর কোভিড পজিটিভ ১৫
কোভিডে কালো তালিকাভুক্ত
কলকাতার দশটিরও বেশি ওয়ার্ড কালো তালিকাভুক্ত। এরমধ্যে আছে ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭৪, ৮১, ৯২, ১০৩, ১০৯, ১১৮ নম্বর ওয়ার্ড।
এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইল, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বারাসত, গড়বেতা ১, কৃষ্ণনগর ১, শিলিগুড়ি এবং বাঁকুড়া পুরসভা।
রং দিয়ে কোভিডের বিপদ চেনার পদ্ধতিতেই নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, বিধাননগর পুরনিগম, খড়গপুর এবং বীরভূমের লাভপুর অঞ্চলের হাতে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।