CPIM: মিটিং-মিছিলে ভিড়, বাড়ছে সদস্য সংখ্যাও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হাল ফিরছে বামেদের?

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 08, 2023 | 12:21 PM

West bengal CPIM: জেলায় জেলায় শক্তি বাড়ছে বামেদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ স্তরে শক্তি বাড়ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় বামেদের সমাবেশেও ভিড় বাড়ছে। ক্ষমতা হারানোর পরে ধীরে ধীরে সংগঠন ভেঙে পড়ে CPM-এর।

CPIM: মিটিং-মিছিলে ভিড়, বাড়ছে সদস্য সংখ্যাও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে হাল ফিরছে বামেদের?
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: পঞ্চায়েতের আগে শক্তি বাড়ছে বামেদের? বুথ কমিটি গঠনের তথ্য অন্তত বলছে তেমনটাই।‍ রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথমবার ১৪ হাজার স্থায়ী বুথ কমিটি তৈরি করতে পেরেছে বামেরা (Left Front)। শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বুথস্তরে সংগঠনই বাম শিবিরকে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জেলায় জেলায় শক্তি বাড়ছে বামেদের (Left front)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ স্তরে শক্তি বাড়ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় বামেদের সমাবেশেও ভিড় বাড়ছে। ক্ষমতা হারানোর পরে ধীরে ধীরে সংগঠন ভেঙে পড়ে CPM-এর। বুথ কমিটি তো দূরের কথা, অনেক জায়গায় লোকাল কমিটিও বন্ধ করে দিতে হয়। ভাঙা সংগঠন চাঙ্গা করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই জেলায় জেলা স্থায়ী বুথ কমিটি গড়তে চেয়েছিল সিপিআইএম (CPIM)। কিন্তু কখনও লোকাভাব,কখনও বা সক্রিয়তার অভাব,আবার কখনও সন্ত্রাসের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে কাজ অনেকটা এগিয়েছে,২০১১-র পর এই প্রথমবার রাজ্যে ১৪ হাজার স্থায়ী বুথ তৈরি করল সিপিআইএম তেমনটাই খবর বাম শিবির সূত্রে।

সিপিআইএম-এর জনসভায় বাড়ছে ভিড়?

বাম শিবির সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনে জোর দিচ্ছে সিপিআইএম। বর্তমানে এখন ১৪ হাজার স্থায়ী বুথ কমিটি রয়েছে CPIM-এর। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ও আদিবাসী এলাকায়। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গ ও জঙ্গলমহলেও বামেদের সক্রিয়তা বাড়ছে। যদিও, উত্তরবঙ্গে বামেদের সংগঠন এখনও তেমন মজবুত নয় মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের অনেক জায়গায় সিপিআইএমের পার্টি অফিস খুলেছে। শুধু তাই নয়, ওয়াকিবহাল মহলের মত, বামেদের জনসভায় আগের থেকে ভিড় বাড়ছে। তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে অনেকেই সিপিআইএমে ফিরছেন।

এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের মনে করছিলেন অনেক কিছু পাইয়ে দিয়েছি তাঁরা এখন বুঝতে পারছেন যে তাঁধের ঠকানো হয়েছে। তাঁরা তো ঠকে গেলে প্রতিক্রিয়া দেবেন। গরিব মানুষ এখন বুঝতে পারছেন।”

যেসব জায়গায় দীর্ঘদিন কার্যালয় খোলা যায়নি,পতাকা তোলা যায়নি, সেই জায়গাগুলিতে জনসভায় জোর বামেদের। দলীয় সভা,জনসভাতেও ভিড় বাড়ছে। যাকে মিনি ব্রিগেড বলছে বামেরা।

যদিও বা জনপ্রিয়তার এই জোয়ারকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল থেকে বিজেপি। কমিটি খাতায় কলমে তৈরি, লোক কই, প্রশ্ন ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দেখবেন বামেদের মিটিং মিছিলে লোক হয়। আর সেই বুথ গুলিতে তাঁরা যখন ফেরে বিজেপিকে ভোট দিয়ে আসে। সুতরাং বামেদের মিছিল বড় হচ্ছে কি না বড় কথা নয়। বামেরা ভোট ফেরাতে পারছে কি না সেইটা দেখার।”

তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকৃত লড়াই পদ্ম শিবির লড়ছে, সেটা বাংলার মানুষ জানেন। পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।

 

Next Article