কলকাতা: মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লোন নিয়েছিলেন যুবক। সেই ঋণের বোঝা যে এতটা ভারী হবে এখনও ভাবতে পারছেন না বাগুইআটির এক যুবক। লোন নেওয়ার সময় ওই যুবক যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন, সেই ফোন নম্বরের ডিসপ্লে পিকচার বা ডিপিতে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ছিল। অভিযোগ, যাঁদের কাছ থেকে তিনি লোন নেন, তাঁরা সেই ছবিটি নামিয়ে সুপার ইম্পোজড করে অশ্লীল ছবি তৈরি করে এখন হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগ, ওই লোনদাতারা এখন দ্বিগুন টাকা দাবি করছেন। সেই টাকা না দিলে ওই ছবি অ্যাডাল্ট কোনও সাইটে আপলোড করে দেওয়ার কথাও বলছেন। এই ঘটনায় বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। চরম বিড়ম্বনায় গোটা পরিবার।
অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা লোন নেন ওই যুবক। সেই টাকা শোধও করে দেন তিনি। সুদ-সমেত ৮ হাজার ৬৮২ টাকা অনলাইনেই দেন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। লোনদাতা ওই সংস্থা থেকে দাবি করা হয়, আরও টাকা দিতে হবে। না হলে তাঁর স্ত্রীর ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে ছেড়ে দেবেন। অভিযোগ, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবি অশ্লীলভাবে এডিট করে ওই যুবকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানো হয়েছে। যা দেখে উদ্বেগে পরিবার।
ওই যুবক বলেন, “আমি একটা ক্রেডিট গোল্ড লোন অ্যাপ থেকে ৫ হাজার টাকার লোন নিই। লোন নেওয়ার পর কোনও যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু সাতদিন পর আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। আমাকে বলছে ৮ হাজার ৬৮২ টাকা দিতে হবে। আমি তো অবাক। ৫ হাজার টাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে এত টাকা সুদ দিতে হয়? তখন বলছে ওদের নাকি অনেক বেশি সুদ। আমি পাল্টা বললাম, যদি টাকা না দিই। এরপরই আমার ডিপি থেকে আমার আর স্ত্রীর ছবি নিয়ে এডিট করে আমাকে পাঠিয়ে হুমকি দিতে থাকে। বলছে আমার কনটাক্ট লিস্টে যতজন আছে সবাইকে পাঠিয়ে দেবে।”
ওই যুবক জানান, অ্যাপটি তিনি যখন মোবাইল ফোনে ইনস্টল করেন তখন, কনটাক্ট লিস্টও ‘অ্যালাও’ করতে হয়। অনেক কষ্ট করে সেই টাকার বন্দোবস্ত করে অভিযুক্তের বলে দেওয়া অ্যাকাউন্টে পাঠানোও হয়। অভিযোগ, “এরপর আবার আমার কাছে ফোন আসে। আমাকে নোংরা কথা বলছে। আবারা টাকা চায়। না দিলে বউয়ের সব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে। আমার তো এখন শরীর খারাপ করছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করব।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।