কলকাতা: লক্ষ্মীবারে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জোড়া ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একদিকে আসানসোল সংশোধনাগারে আসার জন্য কেষ্টর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট। অন্যদিকে এদিনই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গরু পাচারকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে। সেখানে নাম রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচার থেকে কমপক্ষে ৪৮ কোটি টাকা পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
সুকন্যা মণ্ডলের ভোলে ব্যোম রাইস মিল এবং শিব শম্ভু রাইস মিলের নাম রয়েছে ইডির চার্জশিটে। আরও দু’টি সংস্থা অভিযুক্তের তালিকায়। একইসঙ্গে মনোজ মহনত নামে আরও এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়।
অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সাড়ে ১১ কোটির নগদ এবং সম্পত্তি ইতিমধ্যেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত মোট ৩২ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের দাবি, আব্দুল লতিফ থেকে অনুব্রত ঘনিষ্ট মলয় পিট, বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বয়ানের ভিত্তিতে এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজীব ভট্টাচার্যের বয়ানও রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে উঠে এসেছে গরুপাচারে অনুব্রতর ভূমিকা কী। একইসঙ্গে বেনামে সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর টানা কয়েক মাস আসানসোল সংশোধনাগার ছিল তাঁর ঠিকানা। পরে ইডি দিল্লির বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়ে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ পায়। এর পর থেকে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। এদিকে সম্প্রতি তাঁর মেয়েকেও ইডি গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে তিহাড় থেকে আসানসোলে পাঠানোর আবেদনের শুনানি ছিল। অনুব্রতর এই আবেদনে মান্যতা দেয়নি রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগামী ৮ মে পর্যন্ত কেষ্টকে জেলে থাকারই নির্দেশ দিয়েছে। এরইমধ্যে ইডি এদিন আদালতে চার্জশিটও পেশ করল বাবা-মেয়ের নামে।