WB Recruitment: চুক্তিতে লোক নেওয়া মানেই কাটমানি খাওয়ার সুযোগ, রাজ্যের অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে খোঁচা দিলীপের
Recruitment: স্বাস্থ্য দফতরে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে অসন্তুষ্ট চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটাও।
কলকাতা: সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানে বেশ কিছু নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, খাদ্য দফতর ও স্বাস্থ্য দফতরে বেশি কিছু অস্থায়ী নিয়োগ (Contract Basis Recruitment) হবে। এ ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে কর্মী। একইসঙ্গে পরিবহণ দফতরেও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয় এদিন। এই সিদ্ধান্তকেই নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কটাক্ষ, এসব টাকা খাওয়ার একটা পথ মাত্র। কিছু অস্থায়ী লোক নেবে, যেখানে চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই। এদিক সেটা পেতেও কাটমানি দিতে হবে। মঙ্গলবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আসলে লোক নিয়োগ হবে না। ফোন করে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নেওয়ার কথা বলছে ওরা। আসলে সেটা নেতাদের টাকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।” এ প্রসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন এই বিজেপি নেতা।
দিলীপ ঘোষের তোপ, “শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তো তাই হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পোষ্ট খালি আছে কিন্তু লোক নিচ্ছে না। রাজ্য সরকারের এই নতুন করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এবং পরিবহণ ক্ষেত্রে অস্থায়ী পদে লোক নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে নেতাদের কাটমানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা।” প্রসঙ্গত সোমবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৫ তম ফিনান্স হেলথ কমিশনের গ্রান্টের অধীনে স্বাস্থ্য দফতর চুক্তির ভিত্তিতে ১১ হাজার ৫৫১ জনকে নিয়োগ করবে। অন্যদিকে খাদ্য দফতরের অধীনে ৩৪২ জনকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নেওয়া হবে। এই নিয়োগও হবে চুক্তিভিত্তিক। এছাড়া সীমান্ত লাগোয়া যে ট্রাক টার্মিনালগুলি সরকার অধিগ্রহণ করছে, সেখানকার কর্মীদের ঠিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে অসন্তুষ্ট চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটাও। সোমবারই তিনি টিভি নাইন বাংলাকে জানান, “চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আমাদের আপত্তি আছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রায় সমস্ত বিভাগেই ৫০ শতাংশের উপর বিভিন্ন পদ খালি রয়েছে। ফলে নিয়োগ হলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়োগগুলো অবশ্যই স্থায়ী পদে হতে হবে। কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে আমি কাজ করিয়ে নিলাম, এটা আমরা সমর্থন করি না। আমরা কোভিডের সময় দেখেছি, বিপুল সংখ্যক লোক চুক্তিতে নিয়োগ হয়েছিল। চাকরিটা কিন্তু তাঁদের আর এখন নেই। ছাঁটাই করা হয়েছে। ফলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন আছে।” একই সঙ্গে মানস গুমটা জানান, “শুধু নিয়োগ করলেই হবে না। বহু ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। কেমোথেরাপির ওষুধ নেই বহু জায়গায়। অপারেশন, চিকিৎসা বন্ধ হয়ে থাকছে। অর্থাৎ নিয়োগ যেমন জরুরি তেমনই চিকিৎসার পরিকাঠামোও দরকার। নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা দরকার।”
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নবান্নের, জেলা জেলায় পৌঁছেছে বার্তাও