কলকাতা: করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন নিয়ে এবার সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, এর আগেও এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা এখানে বসতে চেয়েছিলেন। তাঁদেরও বসতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে করুণাময়ীতে এসে উপস্থিত হন কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
দিলীপ ঘোষের কথায়, “এর আগেও এসএসসির লোকেরা বসতে চেয়েছিল বসতে দেয়নি। হাইকোর্টের অর্ডার নিয়ে তারা বসেছেন। পশ্চিমবাংলা যেখানে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে ধরনা করেন, আন্দোলন করেন, সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা অধিকারের জন্য লড়াই করছেন, আন্দোলন করছেন তাঁদের রাস্তার ধরে বসতেও দেবেন না? সেই অধিকারটুকুও তাঁদের নেই? পশ্চিমবাংলায় মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হচ্ছে। চাকরি লুঠ হয়েছে, টাকা লুঠ হয়েছে, এবার গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ হচ্ছে।”
অন্যদিকে এদিনই পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কর্মসূচি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসবের সমাধান একটাই। নবান্নর ১৪ তলা থেকে ওনাকে সরাতে হবে। তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়বে, শিল্প আসবে, বানিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে, সিন্ডিকেটরাজ-সাদা খাতায় চাকরি বন্ধ হবে।”
প্রসঙ্গত, এই টেট প্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আন্দোলনকারীদের ভালবাসি। যাঁরা ন্যায্য আন্দোলন করেন। আর কোর্টে কেস চলছে। কোর্টের অর্ডারটাও আমরা মানছি, সম্মান দিচ্ছি। আমি তো চাই কারও চাকরি যেন না যায়। আমি তো চাই সকলের চাকরি থাকুক।”