কলকাতা: সিবিআইয়ের কাজ সিবিআই করেছে। কিন্তু এটা নিয়ে যেন চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি না হয়। এমনটাই মত চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর। ভোটের ফল বেরোনোর দিন অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করার সূত্রে বুধবার বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অভিজিৎ চৌধুরীকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। হাজিরাও দেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবারই সোনারপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে। বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায় সরকারি এই চিকিৎসককে।
ভোটের ফল প্রকাশের দিন অনুব্রত মণ্ডলের ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে বুধবার দুর্গাপুরে তলব করা হয় অভিজিৎ চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার সোনারপুরে আন্তর্জাতিক ফ্যাটি দিবস উপলক্ষে সচেতনতা প্রচারে একটি সাইকেল মিছিলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, পেশার খাতিরে চিকিৎসকদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। তাই চিকিৎসকদের তলব করার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সবদিক বিবেচনা করা উচিত।
একইসঙ্গে অভিজিৎ চৌধুরীর বক্তব্য, “কোনও রেগুলেটরি এজেন্সি ডাকলে প্রত্যেককেই যেতে হবে। এটা নাগরিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। আমিও সেই নাগরিক দায়বদ্ধতাই পালন করেছি। আমাদের কাছে যেমন মুনি ঋষিরা আসেন, তেমনই আসেন সমাজের সবথেকে অন্ধকারে থাকা মানুষগুলোও। আর রাজনীতির অঙ্গনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা তো মানুষকে নিয়েই কাজ করেন। কাজেই তাঁরা প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে আসেন। এখন যদি এরকম হয়, রাজনীতির অঙ্গনের যে লড়াই, তার মাঝখানে চিকিৎসকদের হাজিরা দিতে হবে। তাঁর সঙ্গে কতটা সংস্রব আছে তাঁদের, তা বিচার করার জন্য। সত্যি তবে পেশাটা খুব সঙ্কটে পড়বে।”
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জ়োন ভাগ করে ক্যাম্প অফিস খুলেছে সিবিআই। সেখানেই চলছে এই মামলার জিজ্ঞাসাবাদপর্ব। প্রয়োজন মনে হলে কাউকে কাউকে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অস্থায়ী ক্যাম্প খুলেছে সিবিআই। সেখানে ইতিমধ্যেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একাধিক ঘনিষ্ঠকে তলব করা হয়েছে। সেই মামলাতেই বুধবার ডাকা হয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকেও।