কলকাতা: কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল। ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনের শুরুতে সংগঠনের কর্মীদের এই দুই লক্ষ্যে লড়াইয়ে ঝাঁপানোর বার্তা দিলেন মহম্মদ সেলিম, সীতারাম ইয়েচুরিরা। দীর্ঘ সময় পর রাজ্যে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন। বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে প্রকাশ্য সমাবেশ দিয়ে সম্মেলনের শুরু। সমাবেশে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নিশানায় শুরু থেকেই ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তিনি বলেন, “সরকার সম্পত্তির ম্যানেজার হয়। মালিক কিন্তু সাধারণ মানুষ। মালিকের কাছে অধিকার থাকে ম্যানেজার বদলের। এটাই আমাদের বদলাতে হবে। কেন্দ্রের সরকারকে বদলালে তবেই এই দেশকে বাঁচানো সম্ভব।” মহম্মদ সেলিমের দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারের তুলোধনা করা। সেলিমের ঝাঁঝালো তোপ রাজ্য পুলিশকে, “উর্দিধারী পুলিশ আছে না, ওরা একসঙ্গে লাঠি তুলতে পারে না। এখন তো তোলাবাজির টাকা খেয়ে এমন হয়েছে, একসঙ্গে প্যারেডও করতে পারে না। বামপন্থীরা যখন নবান্ন অভিযান করেছিল, এই পুলিশের একটা অংশই লাঠি মেরে পিটিয়ে কমরেড মইদুলকে খুন করেছিল।”
সেলিমের সুরেই বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও নিশানা করেন তৃণমূলকে। তাঁর বাক্যবাণ, “এ মাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, আশাপূর্ণাদেবীর মাটি। এ মাটি এপাং ওপাং ঝপাং হাম্বা হোম্বা হরে কর কম্বা লিখে আকাদেমি পাওয়ার মাটি হতে দেব না।” কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির নিন্দা করলেও বাম নেতাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, এ রাজ্যে আপাতত তৃণমূলই সেলিমদের প্রধান শত্রু। সর্বভারতীয় স্তরে লক্ষ্য বিজেপি, তাই সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্যে সে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তবে সেলিম-মীনাক্ষীর কথায় কিন্তু বারবার ঘুরে ফিরে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কথাই। এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে গত এক বছর ধরে যাদের ঘর ছাড়া করা হয়েছিল, তারা পথ ছাড়া হয়নি। আজ থেকে ইতিহাস রচনার শপথ নেওয়ার দিন শুরু হল।”
১২ মে থেকে ডিওয়াইএফআইয়ের এই সর্বভারতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। শেষ দিন কমিটি ঘোষণা হবে। সূত্রের খবর, এবার ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি হচ্ছেন এ এ রহিম। সম্পাদক হচ্ছেন হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য। রহিম এখন সংগঠনে সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এখনও বাংলা থেকেই সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। তিনি অভয় মুখোপাধ্যায়।