কলকাতা: ই নাগেটস (E Nuggets) মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার মামলায় রোমেন আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। গার্ডেনরিচকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খানের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত রোমেনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজত হয়। বিচারক নির্দেশ দেন, জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। রোমেনের কাছে ১৪০ কোটি টাকার বিট কয়েনের লেনদেনের হদিশ মেলে বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে সাত কোটি টাকা আমির খান দিয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা আজ জুডিশিয়াল কাস্টডি চেয়েছিলাম। কারণ ১৪ দিনের ইডি হেফাজত আজ শেষ হয়ে গিয়েছে। জেল হেফাজতে ইডি যাতে জেরা করতে পারে সেই আবেদনও ছিল। বিচারক তাতে সম্মতি দিয়েছেন। ১৭ তারিখ পর্যন্ত জুডিশিয়াল কাস্টডি অর্থাৎ জেল হেফাজত হয়েছে। প্রয়োজনমতো জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি।”
কী এই ই নাগেটস? যেমন টাকা খরচ করা হবে সেইমতো ‘ইউজার’ তাঁর সদস্যপদের ‘লেভেল’ বাড়াতে পারবেন অনলাইন গেমিং অ্যাপ ‘ই-নাগেটস’-এর মাধ্যমে। ২০০ টাকা থেকে সাধারণ মেম্বারশিপ নেওয়া যায়। অর্থাৎ কেউ যদি ২০০ টাকা খরচ করেন তা হলে এই অ্য়াপের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। আর ২০০ টাকা ব্যয় করে ভাল টাকার অঙ্ক হাতেও আসে। আর এখানেই আসল বাঁক।
২০০ টাকা খরচ করে ভাল টাকা ফেরত পেতেই পরবর্তী পর্যায়ে খেলার জন্য আরও টাকা খরচ করেন ইউজার। সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হলে কয়েন জেতার সুযোগ থাকত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করার সুযোগ থাকত কিংবা চাইলে শপিংও করতে পারতেন। তবে এভাবে প্রচুর টাকা জিতে গেলে সে সময়ই হত সমস্যা। সার্ভারের সমস্যা দেখিয়ে উধাও হয়ে যেত অ্যাপ।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তীর কথায়, “ইতিমধ্যেই রোমেন আগরওয়াল জেরার মুখে অনেকের নাম বলেছেন। আমরা আদালতে জানিয়েছি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হতে পারে। তদন্ত করা দরকার। এখনও অবধি ইডি যা পেয়েছে আমির খানের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয় রোমেন আগরওয়ালের কাছে। কিন্তু কেন এই টাকার লেনদেন এখনও তার স্পষ্ট জবাব মেলেনি।”