কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও। জ্যোতিপ্রিয় অবশ্য বলছেন তিনি বাকিবুরকে চেনেন না, তবে ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বাকিবুরের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বেশ ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বেশ কিছু তথ্যও হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে অতীতে কী হয়েছে, না হয়েছে, তার সঙ্গে নিজেকে কোনওভাবেই জড়াতে চাইছেন না জ্যোতিপ্রিয়র উত্তরসূরি, রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর আমলে রেশন বণ্টন থেকে শুরু করে চাষিদের থেকে শস্য কেনা… প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে আমূল সংস্কার আনা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রীমশাই।
অতীতে কী হয়েছে, কী অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “আমি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে পারি।” কিন্তু তাহলে হঠাৎ করে এই সংস্কারগুলি কেন আনল খাদ্য দফতর? মন্ত্রীর কথায়, “যখন খাদ্য দফতরের তরফে উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান হয়েছিল, তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের কিছু সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। সেই কারণেই এই সংস্কারগুলি করা হয়েছে।”
রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বক্তব্য, “আমি এখানে দায়িত্ব আসার পর পুরোদমে পর্যালোচনা করে সংস্কার আনা হয়েছে। ২০২১ সালের পর কোথাও কোনও সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে আমি বলতে পারব। কিন্তু আগের ব্যাপারটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল।”
উল্লেখ্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির থেকে অনেকেই ইতিমধ্যে বর্তমান খাদ্য দফতরের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলছেন কেউ কেউ। সেই নিয়েও পাল্টা দিলেন রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “তাঁরা তো আমাকে মন্ত্রী করেননি। যদি মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন আমাকে বলেন পদত্যাগ করতে, আমি করব।”