DA Protest: ‘দু’দিনের টাকা জনগণের মঙ্গলে লাগান’, নবান্নের নির্দেশিকা ফুৎকারে ওড়ালেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা

Soma Das | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 19, 2023 | 5:31 PM

DA Protest: প্রাপ্য টাকার দাবিতে অনড় তাঁরা। এমনকী সাফ জানিয়েও দিলেন নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী দু'দিন তাঁরা পালন করবেন কর্মবিরতি দিবস।

DA Protest: দুদিনের টাকা জনগণের মঙ্গলে লাগান, নবান্নের নির্দেশিকা ফুৎকারে ওড়ালেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা
আগামীকাল কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা (DA) ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। শনিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি অফিসে গোটা দিন হাজিরা দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। কেউ যদি অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তা সার্ভিস ব্রেক হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই দিনের বেতন তাঁরা পাবেন না। কিন্তু এরপরও দমানো যায়নি সরকারি কর্মীদের আন্দোলন। প্রাপ্য টাকার দাবিতে অনড় তাঁরা। এমনকী সাফ জানিয়েও দিলেন নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী দু’দিন তাঁরা পালন করবেন কর্মবিরতি দিবস।

আন্দোলনকারী বলেন, “কর্মবিরতি ১০০ শতাংশ হবেই। উনি দু’দিনের বেতন কেটে নেওয়ার কথা বলেছেন তাতে আমরা রাজি। কারণ এমনই আমরা বেতন কম পাই। শোভনদেববাবুর কথা মতো এই দু’দিনে টাকা জনগণের মঙ্গলের কাজে লাগান। তবে অনুরোধ করছি এই টাকা দিয়ে কাটমানি খাবেন না। সরকার বলেছে কর্মবিরতি পালন করলে চাকরি জীবনে কর্মচ্ছেদ হবে। কিন্তু প্রশ্ন এই কর্মচ্ছেদটা করবে কে?”

প্রসঙ্গত, ডিএ-এর দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও চিড়ে ভেজেনি।বকেয়া ডিএ (DA Agitation) মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এখনও আন্দোলনে সামিল সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। দাবি স্পষ্ট, কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে ডিএ দিতে হবে। আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি পেন ডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন।এমন অবস্থায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার।

অর্থ দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওই দুই দিন সরকারি কর্মীরা বা স্কুল এবং সরকারি সাহায্য-প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মীদের অবশ্যই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনকী কোনও হাফ-ডে কাজও গ্রাহ্য হবে না। গোটা দিনের হাজিরা থাকতে হবে। যাঁরা ১৭ তারিখ ছুটি নিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই ২০ তারিখ কাজে যোগ দিতে হবে। যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ওই দিনগুলিতে কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তা সার্ভিস ব্রেক হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই দিনের বেতন তাঁরা পাবেন না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, যদি পরিবারের কারও মৃত্যু হয়, যদি কেউ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১৭ তারিখের আগে থেকে ছুটিতে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি থাকছে না। পাশাপাশি ১৭ তারিখের যে সব সরকারি কর্মচারীর চাইল্ড কেয়ার লিভ, ম্যাটারনিটি লিভ, মেডিক্যাল লিভ বা আর্নড লিভ অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও এই কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে না।

 

 

Next Article