কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি। র্যাগিং-তত্ত্ব যত জোরালো হচ্ছে, তত একে অন্যের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত। আর এসবের মধ্যেই এবার শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। যাদবপুরের ঘটনার তদন্তের জন্য তৈরি হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিকগুলি খতিয়ে দেখে উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবে।
চার সদস্যের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন রাজ্য উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান (অ্যাকাডেমিক)। উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়াকে র্যাগিং করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত দিকেও বেশ কিছু ফাঁক-ফোঁকর রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে। কোথায় কোথায় কী কী খামতি রয়েছে এবং কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের থেকে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছিল বিজেপি। সেই নিয়ে আবার পাল্টা টুইট করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপাচার্যহীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মর্মান্তিক পরিণতির জন্য রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কোর্টেই বল ঠেলেছিলেন ব্রাত্য বসু। টুইটে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাদবপুর সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এই ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
এরপর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। পড়ুয়ার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। যাদবপুরকে ‘আতঙ্কপুর’ বলে মন্তব্য করে ‘মার্ক্সবাদীদের’ দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। আর এসবের মধ্যেই এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত দিকে কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল রাজ্য।