Panchayat Election 2023: চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত হওয়া মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত, এই শয়তানের খেলা বন্ধ হবেই: রাজ্যপাল

Ranjit Dhar | Edited By: Soumya Saha

Jun 16, 2023 | 2:47 AM

CV Ananda Bose: বাংলার সাংবিধানিক প্রধান স্পষ্ট বললেন, 'কোনও কথা নয়, শুধু অ্যাকশন নেওয়ার সময়। একটু ধৈর্য্য় ধরুন এবং দেখুন কী হয়। আপাতত আমি এটুকুই বলতে পারি, সক্রিয় ও কংক্রিট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Panchayat Election 2023: চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত হওয়া মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত, এই শয়তানের খেলা বন্ধ হবেই: রাজ্যপাল
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

Follow Us

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন ঘিরে জেলায় জেলায় অশান্তির অভিযোগ। গত দু’দিন ধরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ভাঙড়। যখন-তখন বোমা ফাটছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভোটের সময় কী হবে তা ভেবে শিউরে উঠছেন অনেকে। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলিও। এই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। গোটা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন তিনি? বাংলার সাংবিধানিক প্রধান স্পষ্ট বললেন, ‘কোনও কথা নয়, শুধু অ্যাকশন নেওয়ার সময়। একটু ধৈর্য্য় ধরুন এবং দেখুন কী হয়। আপাতত আমি এটুকুই বলতে পারি, সক্রিয় ও কংক্রিট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুধবার ভাঙড়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের আক্রান্ত হয়েছেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। রাজভবন থেকে রাজ্যপালের বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের আগেই রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে স্তম্ভিত রাজ্যপাল। সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হচ্ছে দুষ্কৃতীদের হাতে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচনে জয় ভোট গণনার উপর নির্ভর করে, লাশের সংখ্যার উপর নয়। গুন্ডা, দুষ্কৃতীদের কোনওভাবেই রাজ করতে দেওয়া চলবে না। যখন চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত হয়, তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। সংবিধান আক্রান্ত। নতুন প্রজন্ম আক্রান্ত। এই শয়তানের খেলা বন্ধ হওয়া দরকার এবং তা অবশ্যই বন্ধ হবে। এর শেষের শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গে।’

রাজ্যপালের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্রে জনগণই শেষ কথা। নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা তাঁদের অধিকার। গণতান্ত্রিক ভোট প্রক্রিয়ায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। সাধারণ মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির অধিকার আছে।‘ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও মূল্যে, হিংসা বন্ধ করতে হবে। যে যতই ক্ষমতাশালী বলে নিজেকে মনে করুক না কেন, কোনওভাবেই তাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নিতে দেওয়া চলবে না।

উল্লেখ্য, এদিন রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের দাঁড়িয়েই রাজ্যপাল খুব স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কোনওভাবেই অশান্তিকে বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের দিনগুলিতে যে অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে, তার উপর সজাগ নজর রাখছেন রাজ্যপাল। কয়েকদিন আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেদিনই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, নির্বাচনে কোনওরকম অশান্তি বা গন্ডগোল তিনি বরদাস্ত করবেন না। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন,  নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেই কথা তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনও অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়, সেই কথাও তিনি বলেছিলেন রাজীব সিনহাকে।

Next Article