কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল জানতে ইতিমধ্যেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। যা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু রাজ্যপাল বোসের এই বিশ্ববিদ্যালয়-পরিদর্শন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকাশ্যেই। এরইমধ্যে সূত্রের খবর, শিক্ষাবিদদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, সোমবার এই বৈঠক হয়। রাজভবনে এই বৈঠকে ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভশঙ্কর সরকার-সহ বেশ কয়েকজন। জাতীয় শিক্ষানীতি-সহ একাধিক বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, শুভশঙ্কর সরকারের মতো শিক্ষাবিদদের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এদিনের বৈঠক নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ নিয়ে যখন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে একটা মতপার্থক্য রয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন নিয়ে যখন বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী নিজে। সূত্রের দাবি, তিনটি বিষয় নিয়ে সোমবার আলোচনা হয়। এরমধ্যে সর্বাগ্রে ছিল জাতীয় শিক্ষানীতি। একইসঙ্গে ডিস্টেন্স লার্নিং ও রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়েও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে রাজ্যপাল বোস কথা বলেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতির বেশ কিছুটা অংশ মেনে নিয়েছে। তবে, শিক্ষাবিদদের একাংশ জাতীয় শিক্ষানীতির কিছুটা অংশের বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন আচার্যকে। প্রসঙ্গত, রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গতিবিধি এবং আর্থিক লেনদেনের হিসাব চাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বিকাশ ভবন। একইসঙ্গে আচার্য বিল, নেতাজি সুভাষ মুক্তবিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য হিসাবে ইতিহাসের শিক্ষক চন্দন বসুকে নিয়োগ নিয়েও রাজভবনের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছে রাজ্যের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলতে শোনা গিয়েছে, “রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক আচার্য মুখ্যমন্ত্রী।” রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।