কলকাতা: আবারও ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। কোচবিহারের দিনহাটায় নিহত বাবু হকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন রাজ্যপাল নিজেই। শুনলেন সমস্যার কথা। এরপরই আশ্বাস দেওয়া হল, তাঁর পিস রুম থেকে ফোন যাবে। সেখানে সমস্ত সমস্যার কথা যেন বলা হয়। সবরকম সহযোগিতা করবেন তিনি। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল। শনিবার রাতে কোচবিহারে তাঁর থাকার কথা।
এই কোচবিহারেরই দিনহাটা-১ ব্লকের গীতালদহ গ্রামপঞ্চায়েতের জরিধল্লা গ্রাম। গত ২৭ জুন এ গ্রামেই গুলি চলে। তৃণমূল কর্মী বাবু হক সেই গুলিতে নিহত হন বলে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়। শনিবার বাবু হকের পরিবারের সঙ্গেই কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিন রাজ্যপালের তরফে ফোনে জানতে চাওয়া হয়, নিহত বাবু হকের পেশা কী ছিল, বিবাহিত কি না, সন্তান আছে কি না, বাড়ি আর কে রোজগার করেন? এরপরই বলা হয়, রাজ্যপালের অফিস থেকে কিছুক্ষণ পরই ফোন করা হবে এই একই নম্বরে। সেখানে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি যা প্রশ্ন করবেন, তার উত্তর দিতে। একইসঙ্গে আশ্বস্ত করেন, যা সহায়তা লাগবে ওই নম্বরে বলতে। সবরকম খেয়াল রাখা হবে।
আগেই রাজ্যপাল বলেছিলেন, “আমি গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর হতে চাই। এভাবে চলতে পারে না। এর শেষ হওয়া উচিত।” এরপরই শনিবার ‘গ্রাউন্ড জিরো’ অ্যাকশনে রাজ্যপাল বোস। সকাল সকালই কোচবিহার সার্কিট হাউজে বিরোধীরা সাক্ষাৎ করতে যান তাঁর সঙ্গে। ছিলেন বিজেপির ৬ বিধায়ক, কংগ্রেসের আক্রান্ত নেতা কর্মী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও।
এই সাক্ষাতের পর চকচকির বেসরকারি হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। এরপর দিনহাটা। মাঝে পুঁটিমারিতে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও যান। এরপর দিনহাটাতেও নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান। বলেন, কলকাতার রাজভবনে পিস রুম তৈরি হয়েছে। সেই পিস রুম এবার থেকে ভ্রাম্যমাণ হিসাবেও কাজ করবে। আমি বিভিন্ন জায়গায় যাই। আমাকেও অভিযোগ জানাতে পারেন। আমি গাড়ি থামিয়ে তা শুনব। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাব।” সেই ভ্রাম্যমাণ পিস রুম থেকে আরও একটি ফোন। এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে।