Jagdeep Dhankhar: জিটিএ ‘দুর্নীতির আখড়া’, বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল
West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar: গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) তহবিলে ব্যাপক অঙ্কের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, 'দুর্নীতির আখড়া'য় পরিণত হয়েছে জিটিএ।
কলকাতা : ফের একবার জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলীর উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (WB Governor Jagdeep Dhankhar)। গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) তহবিলে ব্যাপক অঙ্কের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘দুর্নীতির আখড়া’য় পরিণত হয়েছে জিটিএ। জিটিএ-র কাজকর্মের যাবতীয় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। ৩০ ডিসেম্বর অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করার কথা বলেছেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ অব্যাহত। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং সাংবিধানিক প্রধান, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। হাওড়া পুর বিল নিয়ে তা চরমে পৌঁছেছে। এবার সেই দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিল জিটিএ। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটারে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিটিএ-তে একেবারে গড়বড়ে অবস্থা। জিটিএ গঠনের পর এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ক্যাগ অডিট হয়নি। জিটিএ আইন, ২০১১ এর ৫৫(১০) ধারা অনুযায়ী, জিটিএ-র কার্যকলাপের কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।”
GTA @MamataOfficial in a mess. No CAG Audit for a decade since inception. No report to Governor #GTA functioning as per Section 55 (10) GTA Act, 2011.
Administrator #GTA directed to personally update and make available Reports under Section 55(10) of GTA Act by 30 December, 2021 pic.twitter.com/eSP0WBBTkd
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 29, 2021
জিটিএ ‘দুর্নীতির আখড়া’
তিনি আরও লিখেছেন, “জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলী ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জিটিএ আইনের ৫৫ (১০) ধারা অনুযায়ী সমস্ত কাজের আপডেট এবং রিপোর্ট জমা করতে হবে।” সেইসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্য, পূর্বের জিটিএ বোর্ড এবং বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর ভূমিকায় যথেষ্টই হতাশ। জিটিএ-র তহবিল অপব্যবহারে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, জিটিএ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জিটিএ নিয়ে এর আগেও টুইটারে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য ছিল, জিটিএ (GTA) নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে। কোটি কোটি টাকা আর্থিক গরমিলের অভিযোগ এসেছে। কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। সিএজি (CAG) দিয়ে জিটিএ’র (GTA) অডিট করানো হবে বলেও বলেছিলেন রাজ্যপাল।
এদিকে কয়েক মাস আগে কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, নতুন ভোটার তালিকা এলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “নতুন ভোটার লিস্ট এলেই আমরা জিটিএ নিয়ে এগোব। আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। নির্বাচন হওয়া জরুরি। নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ নয়। ঝগড়া নয়। একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের কাজ করব। জিটিএ নির্বাচন হবে। ওটার সঙ্গে লেগে থাকতে হবে।” এখানেই না থেমে তৃণমূল নেত্রী আরও যোগ করেন, “সবসময় কাজে থাকতে পারবে এমন কাউকে জিটিএ-র দায়িত্ব দেওয়া ভাল।” তারপর, দার্জিলিঙের জেলাশাসককে জিটিএ-র দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।”
আরও পড়ুন: Corona in West Bengal: ওমিক্রনের চোখরাঙানি! ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল, ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর