কলকাতা: রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ব্যাপকভাবে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে অক্সিজেন অমিল। এরই মধ্যে গড়ে উঠতে শুরু করেছে বেশ কিছু অসাধু চক্র। এই অবস্থায় অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে এ বার কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। শনিবার রাজ্যের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ বার থেকে মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। এর অন্যথা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুধু ডাক্তারের সার্টিফিকেট থাকলে সব ক্ষেত্রে অক্সিজেন মিলবে না। দোকান থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে চাইলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে কোভিড পজিটিভ সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক করা হয়েছে। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুরসভার কমিশনার এবং রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আজকে নবান্নে বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
শনিবারের সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমানে প্রতিদিন ২২৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন। নবান্নের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে দৈনিক ৪৯৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। মোট ১০ টি ইউনিট থেকে এই অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ অক্সিজেন বাইরের একাধিক রাজ্যেও পাঠানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও অতি মহামারিকালে বেশ কিছু অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে মেডিক্যাল অক্সিজেনের কালোবাজারি করতে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই কড়া পদক্ষেপ করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে সিসিইউ অপব্যবহারের ছবি, ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’, তীব্র ভর্ৎসনা স্বাস্থ্য অধিকর্তার
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি জেলার পঞ্চায়েত প্রধান, পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার জন্য। একই সঙ্গে নবান্নে কমান্ড সেন্টার এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। এই কন্ট্রোল রুম মূলত হাসপাতাল গুলোর সঙ্গে কথা বলবে ও অক্সিজেনের সাপ্লাই দেখাশোনা করবে। কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এই কন্ট্রোল রুম। হাসপাতালগুলির বেডে অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু দেখবে এই কন্ট্রোল রুম।
এ বাদেও ৫০০০ মেডিকেল সিলিন্ডার রাজ্য সরকার খোলাবাজার থেকে কিনবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি শিল্পের কাজে ব্যবহার হওয়া সিলিন্ডারগুলোকে মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডারে কনভার্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সঙ্কটময় পরিস্থিতি, ভ্যাকসিন-অক্সিজেন ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামকে নিঃশুল্ক করল কেন্দ্র