কলকাতা: জঙ্গি (Terror Link) কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সন্দেহে হাওড়ার দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF)। একজনের নাম সৈয়দ আহমেদ, দ্বিতীয়জনের নাম মহম্মদ সাদ্দাম। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয় তাঁরা। প্রথমজনের বয়স ৩০ বছর, দ্বিতীয়জনের বয়স ২৮। সূত্রের খবর, ধৃত সাদ্দামের কাছ থেকে তদন্তকারীরা একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেই ডায়েরিতে আইএসআইএস-এর ‘শপথবাক্য’ (বায়াত) লেখা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আরবীতে লেখা রয়েছে সেই শপথ। সূত্রের খবর, সাদ্দাম ও সৈয়দকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলেও গোয়ান্দার কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের খবর। তার জন্য অস্ত্র জোগাড়ও চলছিল। সোমবার লালবাজারে গিয়ে এই দু’জনকে জেরা করে এনআইএ-র তিন সদস্যর একটি দল।
গত শুক্রবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আইএস সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পরদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই ধৃতদের ম্যারাথন জেরা শুরু হয়। একইসঙ্গে ঘেঁটে দেখা হচ্ছে তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন।
সূত্রের খবর, তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছে এসটিএফ। পশ্চিম এশিয়া থেকে তাঁদের তহবিলে টাকা আসত। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, গত কয়েক মাস ধরে অর্থ সংগ্রহ ও সংগঠন বিস্তারের চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। এ রাজ্যের একাধিক শিক্ষিত যুবককে মগজধোলাই করে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে সূত্রের দাবি।
এমনও সূত্রের দাবি, ওই যুবকদের বিদেশে আইএস-এর প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানোর পরিকল্পনাও ছিল। সে কারণেই চলছিল তহবিল সংগ্রহের কাজ। সৌদি আরব, সিরিয়ার মতো পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে সেই তহবিলের অর্থও আসে বলে সূত্রের খবর। এসটিএফের হাতে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও এসেছে। ভুয়ো সংস্থার নথি পেয়েছে তারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, কারও যাতে সন্দেহের নজরে পড়তে না হয়, তার জন্য এই ভুয়ো কোম্পানিগুলিই হতো ঢাল। যাতে সকলে ভাবেন, বিদেশে চাকরি করতে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনও তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম, সইদ নিজেরাও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেন।
কলকাতা: জঙ্গি (Terror Link) কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সন্দেহে হাওড়ার দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF)। একজনের নাম সৈয়দ আহমেদ, দ্বিতীয়জনের নাম মহম্মদ সাদ্দাম। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয় তাঁরা। প্রথমজনের বয়স ৩০ বছর, দ্বিতীয়জনের বয়স ২৮। সূত্রের খবর, ধৃত সাদ্দামের কাছ থেকে তদন্তকারীরা একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেই ডায়েরিতে আইএসআইএস-এর ‘শপথবাক্য’ (বায়াত) লেখা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আরবীতে লেখা রয়েছে সেই শপথ। সূত্রের খবর, সাদ্দাম ও সৈয়দকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলেও গোয়ান্দার কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের খবর। তার জন্য অস্ত্র জোগাড়ও চলছিল। সোমবার লালবাজারে গিয়ে এই দু’জনকে জেরা করে এনআইএ-র তিন সদস্যর একটি দল।
গত শুক্রবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আইএস সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পরদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই ধৃতদের ম্যারাথন জেরা শুরু হয়। একইসঙ্গে ঘেঁটে দেখা হচ্ছে তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন।
সূত্রের খবর, তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছে এসটিএফ। পশ্চিম এশিয়া থেকে তাঁদের তহবিলে টাকা আসত। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, গত কয়েক মাস ধরে অর্থ সংগ্রহ ও সংগঠন বিস্তারের চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা। এ রাজ্যের একাধিক শিক্ষিত যুবককে মগজধোলাই করে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে সূত্রের দাবি।
এমনও সূত্রের দাবি, ওই যুবকদের বিদেশে আইএস-এর প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানোর পরিকল্পনাও ছিল। সে কারণেই চলছিল তহবিল সংগ্রহের কাজ। সৌদি আরব, সিরিয়ার মতো পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে সেই তহবিলের অর্থও আসে বলে সূত্রের খবর। এসটিএফের হাতে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও এসেছে। ভুয়ো সংস্থার নথি পেয়েছে তারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, কারও যাতে সন্দেহের নজরে পড়তে না হয়, তার জন্য এই ভুয়ো কোম্পানিগুলিই হতো ঢাল। যাতে সকলে ভাবেন, বিদেশে চাকরি করতে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনও তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম, সইদ নিজেরাও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেন।