KMC: বকেয়া সম্পত্তিকর তুলতে এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন কর বিভাগের আধিকারিকরা

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 11, 2023 | 4:25 PM

KMC: কলকাতা পুরনিগমের কর মূল্যায়ন বিভাগ সূত্রে খবর, এই অর্থবর্ষে ৭০০ কোটি টাকার উপরে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা আরও অনেক বেশি।

KMC: বকেয়া সম্পত্তিকর তুলতে এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন কর বিভাগের আধিকারিকরা
কলকাতা পুরনিগম। ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: বেহাল কর আদায় ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে কড়া পথে হাঁটছে কলকাতা পুরনিগম (KMC)। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই করের টাকা কোষাগারে তুলে আনতে তৎপরতা শুরু। বছর শেষে করের টাকা ঘরে তুলতে সপ্তাহে ২ দিন কর বিভাগের ইন্সপেক্টদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। বুধবার ও শনিবার কর বিভাগের ইন্সপেক্টরদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিলেন পুর কমিশনার। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইন্সপেক্টররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন, কারও মিউটেশন বাকি রয়েছে কি না। যাঁরা এখনও বাড়ির মিউটেশন করাননি, তাঁদের খুঁজে বের করবেন কর বিভাগের ইন্সপেক্টররা। সঠিক কর দেওয়া হচ্ছে নাকি কম কর দেওয়া হচ্ছে সবকিছুই খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

শুধু তাই নয়, সপ্তাহে দু’দিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে যে তথ্য উঠে আসবে, তা ডায়েরিতে লিখে রাখার কথাও বলা হয়েছে। আর সেই ডায়েরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সই করাতে হবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ অমান্য করলে ইন্সপেক্টরদেরও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। পুরনিগমের কোষাগারে যে টান রয়েছে, তা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একেবারে ময়দানে নেমে সম্পত্তিকর তোলার নির্দেশ।

কলকাতা পুরনিগমের কর মূল্যায়ন বিভাগ সূত্রে খবর, এই অর্থবর্ষে ৭০০ কোটি টাকার উপরে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা আরও অনেক বেশি। তাই অর্থবর্ষে শেষ হওয়ার আগে জোর কদমে চলছে কর আদায়ের কাজ। তবে তাতেও যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে, তেমনটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।

চলতি অর্থবর্ষে এখনো পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা সম্পত্তি কর বাবদ আদায় করতে পেরেছে ৭২০ কোটি টাকা। বড় বড় করদাতারা ওয়েভার স্কিমের ছাড় নেওয়ার জন্য কর দিচ্ছেন না। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কলকাতা পুরসভা যে ওযেভার স্কিম চালু করেছিল তাতে আদায় হয় ৪৫০ কোটি টাকা। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা।করোনা প্রভাবের কারণ হিসাবে দাবি করলেও কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া যে অন্যতম দায়ী, তা মেনে নিচ্ছেন রাজস্ব বিভাগের কর্তারা।

Next Article