Political Chaos: ঝামেলা থামল না পুজোর দিনেও, প্রতিমার পায়ের কাছে রাখা হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 31, 2022 | 8:30 PM

Subrata Mukherjee: প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফার্ন রোড এলাকায় শুরু হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। মূলত এলাকার মহিলারাই এই পুজো পরিচালনা করেন।

Political Chaos: ঝামেলা থামল না পুজোর দিনেও, প্রতিমার পায়ের কাছে রাখা হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি
প্রতিমার সামনে রাখা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি।

Follow Us

কলকাতা: প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) শুরু করেছিলেন গড়িয়াহাট ফার্ন রোডের জগদ্ধাত্রী পুজোর। এই প্রথমবার তাঁকে ছাড়া পুজো। অভিযোগ, সেই পুজো নিয়ে সংঘাতে জড়াল তৃণমূল। এই পুজোর দখল কে নেবে তা নিয়েই দড়ি টানাটানির অভিযোগ উঠছে গত কয়েকদিন ধরে। বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে এই ঝামেলা বলে অভিযোগ। সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমীতে সেই ঝামেলা পৌঁছয় চরমে। পুলিশি অনুমতি নিয়ে সমস্যা এতটাই বাড়ে যে, প্রথমে প্রতিমা এনে তা মণ্ডপের সামনে নামিয়ে রাখা হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ এসে প্যান্ডেলের কাজও সম্পূর্ণ করতে দেয়নি। পরে অর্ধ সমাপ্ত প্যান্ডেলেই বসানো হয় প্রতিমা। সামনে রাখা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একটি ছবি।

যদিও এ প্রসঙ্গে দেবাশিস কুমার বলেন, “সুব্রত মুখোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে নেই। তিনিই এই পুজো শুরু করেছিলেন। দুর্গাপুজোটা মহিলাদের পরিচালিত ছিল। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোটা নয়। সুব্রতদা না থাকায় তাঁর সঙ্গে যাঁরা পুজো করতেন তাঁরাই বিধায়ককে পুজো কমিটির সভাপতি করে পুজোর জন্য ব্যানার দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল যাঁরা দুর্গাপুজো করতেন, তাঁরা পাল্টা ওই পুজো তাঁদের বলে ব্যানার টাঙিয়ে পুজোর আয়োজন করেছেন। শুনেছি পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। জানি না এ সমস্যা কেন হল! তবে আমার যেটা মনে হয় যে কমিটি পুজো করে আসে, তারাই পুজো করে। এটা বারোয়ারি পুজো। এখানে তো সকলেই যুক্ত হতে পারেন।”

এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত গীতি হাকিম বলেন, “আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। ১৫ অক্টোবর থেকে আমরা ব্যানার টাঙিয়েছি। আমরা সকলে অনুরোধ করায় সুদর্শনাদিকে প্রেসিডেন্ট করা হয়। কিন্তু পরে কারা কীভাবে নতুন ব্য়ানার টাঙালো জানি না। পুলিশকে আমরা অনুমতির জন্য আবেদনপত্র দিয়েছি। তবে রিসিভ কপি কিছু পাইনি।” গত ১৮ অক্টোবর এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য সংঘাতের সূত্রপাত।

ফার্ন রোডে কমলা চ্যাটার্জি গার্লস স্কুলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সম্মিলনী শুরুর আগেই সেখানে জড়ো হন একদল। অভিযোগ তোলেন, “ভোটে জিতিয়েছি আমরা। অথচ ওনাকে এলাকাতেই দেখি না।” সেই বিধায়কের অনুগামীরা বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে বলেও অভিযোগ তোলেন। যা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। গত সপ্তাহেই জগদ্ধাত্রী পুজোর ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে ফের সংঘাত সামনে আসে। যার রেশ এসে পড়ল সোমবারও

Next Article