Gariahat: ফের ফার্ন রোডের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে ঝামেলা, আবারও কাঠগড়ায় তৃণমূলের ‘দলাদলি’
Gariahat TMC: অভিযোগ, এই পুজোর সভাপতির পদে কে থাকবেন, তা নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব।
কলকাতা: প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) হাত ধরে ফার্ন রোড এলাকায় শুরু হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja)। মূলত এলাকার মহিলারাই এই পুজো পরিচালনা করেন। গত বছর মারা গিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতে এই পুজো নিয়ে সংঘাত গড়িয়াহাটের ফার্ন রোডে। কিছুদিন আগেই বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে ঝামেলার অভিযোগ উঠেছিল। ফের সেই ছবি শুক্রবার রাতে। অভিযোগ, একদিকে রয়েছেন এলাকার বিধায়ক-মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র অনুগামীরা। অন্যদিকে এলাকার কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা।
অভিযোগ, এই পুজোর সভাপতির পদে কে থাকবেন, তা নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব। বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষোভ, বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বোন গীতি হাকিম। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও অভিযোগ ওঠে। ফের জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে ঝামেলার চিত্র প্রকট হয়েছে পুজোর হোর্ডিংকে কেন্দ্র করে। এক পক্ষ পুজোর হোর্ডিং, বোর্ড লাগিয়েছে, যেখানে সভাপতি হিসাবে নাম রয়েছে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের। দশমীর পরের দিন এই হোর্ডিং বোর্ড লাগানো হয়।
সেই বোর্ডের পাশেই নতুন করে আরও একটি হোর্ডিং লাগানো হয় বলে অভিযোগ। একই পুজো অথচ সভাপতির নাম রয়েছে এলাকার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে নাম রয়েছে তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারের। বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের নজরে আসতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গড়িয়াহাট থানায় গিয়ে সরাসরি অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁদের বক্তব্য, বাবুল সুপ্রিয় বহিরাগতদের নিয়ে এসে এই পুজো দখল করতে চাইছেন। এলাকায় বিধায়ককে দেখা যায় না। তিনি কেন এই পুজোর সভাপতি হবেন? দেবাশিস কুমার এই এলাকার বাসিন্দাও নন, জন প্রতিনিধিও নন বলে দাবি তাঁদের। কীভাবে তিনি এ পুজোর পৃষ্ঠপোষক হন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার এ বিষয়ে বলেন, “কলকাতায় ১০০’র বেশি পুজোর পৃষ্ঠপোষক আমি। কে, কখন, কোথায় হোর্ডিং লাগিয়ে দিচ্ছে আমার নাম করে আমি জানি না। বিধায়ক হিসাবে পুজো কমিটির সভাপতি হতেই পারেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু যে ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়, তা কখনওই কাম্য নয়।”
এদিকে সম্প্রতি এই দ্বন্দ্ব নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “এই ধরনের ঝামেলা হওয়া উচিত নয়। বাবুল সুপ্রিয়কে যেমন এলাকায় একটু বেশি সময় দিতে হবে। তেমনই এই ঝামেলার সমাধানের জন্য এলাকার বাসিন্দাদের বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে হবে।” কিন্তু ঝামেলা আর মিটল কই! যদিও এ নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর বা এলাকার বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।