TMC: তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর দ্বন্দ্ব আরও প্রকট, গড়িয়াহাট থানায় জমা পড়ল স্মারকলিপি
TMC: কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে রবিবার বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠলেও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
কলকাতা: রবিবার গড়িয়াহাটে (Gariahat) ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে তৃণমূলের যে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ওঠে, সোমবারও তার রেশ জিইয়ে রইল। গড়িয়াহাট থানায় স্মারকলিপি জমা দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুগামী হিসাবে পরিচিতরা। যদিও কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি রবিবারের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকার লোকজন। একইসঙ্গে বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফার্ন রোডে কমলা চ্যাটার্জি গার্লস স্কুল। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই ছিল তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। আমন্ত্রিত ছিলেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। সেই সম্মিলনী শুরুর আগেই সেখানে জড়ো হন একদল। অভিযোগ ঢেলে দেন, “আমাদের ভোটে উনি (বিধায়ক) জিতেছেন। অথচ ছ’মাস হয়ে গেল ওনাকে আমরা দেখিনি। আমাদের এলাকাতেই আসেন না।”
গীতি হাকিম নামে এক বিক্ষোভকারী (যিনি এলাকায় কাউন্সিলর অনুগামী হিসাবে পরিচিত) বলেন, “গতকাল আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই বসেছিলাম। কারণ আমাদের কাছে খবর ছিল বাইরে থেকে লোক এসে বিজয়া সম্মিলনী করবে। তারা এসে আমাদের সামনে দিয়ে গিয়ে রাস্তার মোড়ে বিজয়া সম্মিলনী করেছে এবং সেটাকে সমর্থন করেছেন আমাদের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। আমরা ভেবেছিলাম উনি এলে ওনাকে প্রশ্ন করব। কিন্তু পুলিশ এমনভাবে আমাদের আটকে দিল যেন আমরা অপরাধী। অথচ আমরাই পাড়ার বাসিন্দা। বিধায়ক তো ভোটের আগেও আসেননি। ভোটের পড়েও আসেননি। আমরা তো ওনাকে দেখিইনি। সবসময় দেখতে পাই আমাদের কাউন্সিলরকে।”
এদিকে বিধায়কের অনুগামী দেবরাজ ঘোষের বক্তব্য, “এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী আসছেন এলাকার লোকজনকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা তা তো ক্য়ামেরায় ধরাই পড়েছে।” রবিবারই বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, “এখানে দু’টো গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। আমাদের এখানে কিছু বলার নেই। এর আগে এখানে একটা রক্তদান শিবির হয়েছিল। তখনও একইরকম একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমার কাজ সব জায়গাতেই যাওয়া। কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব থাকলে তা মিটিয়ে দেওয়া।”
কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে রবিবার বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠলেও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “”রবিবার আমি এলাকায় ছিলাম না। আর সবথেকে বড় কথা আমাদের কাছে কোনও খবরই ছিল না। কী হয়েছে না হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না। তবে এলাকার লোকজনের কিছু অভিযোগ রয়েছে।”