DA: ‘কাজ না করে মাইনে কিসের?’, অখিলের প্রশ্নে কত দিনের ছুটি পান, জানালেন DA আন্দোলনকারীরা
Akhil Giri: অখিল গিরি বলেন, "আন্দোলন যে কেউ করতেই পারেন, পাবলিকের কাজ বন্ধ রেখে শুধুমাত্র নিজেদের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন, এটা আমার বলার অধিকার আছে।"
কলকাতা: ডিউটি না করলে বেতন কাটা হোক, সম্প্রতি ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তোলেন, বিড়ম্বনা এড়াতেই কি মন্ত্রীদের এমন মন্তব্য? অখিল গিরি যদিও এক্ষেত্রে নিজের মন্তব্যে অনড়। তাঁর দাবি, কাজ করবে পয়সা নেবে, এটাই দস্তুর। মাসের পর মাস কাজ না করে মাসের নির্ধারিত দিনে মাইনে পেয়ে যাবেন, এ দাবিও তো ন্যয়সঙ্গত নয়। যদিও মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, মন্ত্রী সার্ভিস রুল জানেন না। তাই এই ধরনের মন্তব্য করছেন।
বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছ নিয়োগ এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের যে আন্দোলন সোমবার ১০৯ দিনে পা দিল। এই আন্দোলনে শুরু থেকেই সরকারি কর্মচারিদের দিকে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই এবার অখিল গিরির মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক।
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের কথায়, “উনি সার্ভিস রুলই জানেন না। সরকারি কর্মীদের অর্জিত ছুটি সম্পর্কে ওনার কোনও জ্ঞানই নেই। তিনি বড় বড় কথা বলতে এলে এসবই তো বলবেন। আমরা পরিষ্কার বলছি, অখিল গিরি যদি ওনার মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন, দরকার হলে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন।” আরেক আন্দোলনকারী সৌগত লাহিড়ির কথায়, “মন্ত্রী হয়ত জানেন না সরকারি কর্মীদের কিছু ছুটি থাকে। শিক্ষকদের সারা জীবনে ১৮০টি ছুটি থাকে। ১৮০টি পূর্ণ ছুটি। আর এখন গরমের ছুটি চলছে এই গরমের ছুটিতে শিক্ষকেরা আন্দোলনে যোগদান করছেন।”
তবে অখিল গিরি নিজের বক্তব্য নিয়ে মোটেই অনুতপ্ত নন। বরং তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “আমি বলেছি দিনের পর দিন কামাই করলে বেতন কেটে নেওয়া হোক। একদিকে আন্দোলন করবে, অফিস করবে না, কাজ করবে না অন্যদিকে বেতন নিয়ে নেবে? বেতনও কেটে নেওয়া হোক। অফিস করো, কাজ করো, পয়সা নাও। ডিএটা তো আলাদা। আগে কাজ করো। কাজ করবে না, পয়সা নেবে না। কাজ কামাই করে, নিজের দায়িত্ব পালন না করে, শুধু অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বললে হবে?”