অভিনয় নয় এককালে এসি সারিয়ে টাকা উপার্জন করতেন ইরফান!অভিনেতার জীবন যেন সিনেমা

Irrfan Khan: ইরফান খান, বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান এবং বহুমুখী অভিনেতা। একের পর এক অসাধারণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্য়মে দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। 'মগবুল', 'দ্য লাঞ্চবক্স', 'নেমসেক', 'লাইফ অফ পাই' এবং 'পিকু'-সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে।

অভিনয় নয় এককালে এসি সারিয়ে টাকা উপার্জন করতেন ইরফান!অভিনেতার জীবন যেন সিনেমা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2025 | 11:29 AM

ইরফান খান, বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান এবং বহুমুখী অভিনেতা। একের পর এক অসাধারণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্য়মে দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। ‘মগবুল’, ‘দ্য লাঞ্চবক্স’, ‘নেমসেক’, ‘লাইফ অফ পাই’ এবং ‘পিকু’-সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। এই সমস্ত ছবির মাধ্যমে তিনি বলিউডে নিজের জমি শক্ত করেছিলেন। তবে শুধু বলিউডেই নয়, ইরফান খান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’, ‘দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান’, ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ এবং ‘লাইফ অফ পাই’-এ তাঁর অভিনয় এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি।

২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল, ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। তবে তাঁর অভিনয় যাত্রা একেবারেই মসৃণ ছিল না। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জীবনের কঠিন দিনগুলোর কথা বলেছিলেন। বলিউডে খ্যাতি পাওয়ার আগে তিনি একটি এসি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি একটি প্রযুক্তিগত কোর্সের ট্রেনিং নিচ্ছিলাম জয়পুরে এবং এই এসি প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই মুম্বই চলে আসি। এরপর বিভিন্ন বাড়িতে এসি মেরামতের কাজ করতাম।” তবে, ইরফান দ্রুত বুঝতে পারেন যে তিনি শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করতে চান না। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারলাম যে, শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য কাজ করতে পারব না। কাজের প্রতি একটা ভালবাসা থাকতে হবে। আমি যা করছি, তাতে যদি আমি মুগ্ধ না হই, তবে সেটা করা সম্ভব নয়।”

১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি রাজস্থানের টঙ্কে জন্মগ্রহণ করেন ইরফান। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর। মা,জ্যাঠার উৎসাহে তিনি থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। এরপর, ১৯৮৪ সালে তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় যোগ দেন, যা ছিল তাঁর অভিনয়ের পথচলার শুরু। ইরফান খানের ছেলে, অভিনেতা বাবিল খান, বাবার পথেই হাঁটছেন। বাবিল তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবিল জানিয়েছিলেন, কীভাবে ছোটবেলায় তিনি তাঁর বাবার কাছে খুব কাছাকাছি ছিলেন। তিনি বলেন, “যদিও আমার বাবা বেশিরভাগ সময় শুটিং করতেন। তাই সবসময় কাছে পেতাম না। তবে যখনই বাড়িতে থাকত আমাদের সঙ্গেই সময় কাটাত বাবা। ” চলচ্চিত্র জগতে ইরফান খানের অবদান অনস্বীকার্য, এবং তাঁর কর্মজীবন এখনও অনেকের অনুপ্রেরণা।