কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে (Madan Mitra) ‘সেলফি কিং’ বললে খুব একটা ভুল বোধহয় বলা হবে না। অন্তত বাংলায় তো বটেই। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল থেকে বইমেলা চত্বর, মদন মিত্রের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য যে ঠেলাঠেলি পড়ে যায়, অতি বড় নিন্দুকও তা মানেন। তবে অতি চাহিদাই মাঝেমধ্যেই কাঁটা হয়ে ওঠে মদনের জন্য। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, মদনের এমন এমন কিছু ছবি ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে বিরোধীরা বেঁধেন, তাঁর দলও বিড়ম্বনায় পড়ে। কিছুদিন আগে এক তরুণীর সঙ্গে মদনের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যা নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। এবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মদনের ছবি প্রকাশ্যে। যদিও এসব বিষয় কোনওদিনই খুব একটা গুরুত্ব পায়নি মদন মিত্রের কাছে। এবারও পেল না। বরং মদনের খোঁচা, বিধায়ক না রেখে এবার তাহলে তাঁকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দেওয়া হোক।
মদন মিত্রের দাবি, “আমাকে তৃণমূলের বিধায়ক বা পার্টির নেতা না করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দিলে অনেক বেশি মহিলা আমি সমবেত করতে পারতাম।” একইসঙ্গে মদন বলেন, “কে হৈমন্তী, মদন মিত্রের সঙ্গে কখন ছবি তুলল, কী করল এইগুলো না জেনে এর থেকে অনেক বেশি রহস্য ঘিরে থাকছে যে কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি এরা কারা। এদের অবস্থান কী?”
যদিও মদনের এই কথায় বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ও লাভলি। ১৮ থেকে ৬৮, এই যে অ্যাপিল এবং জলে স্থলে রণে বনে জঙ্গলে তিনি যে সবসময়ই রসে বশে থাকেন। এটা তিনি নিজেই বলছেন। নিঃসন্দেহে তাঁর এই আবেদন বা তাঁর এই উপলব্ধি তাঁর দলের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”