AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu: ‘অনেকটা ম্যাকবেথের মতো লাগছে’, বলেই রাজ্যপালকে নিয়ে ‘উটপাখি’ কবিতা আওড়ালেন ব্রাত্য

Bratya Basu: মঙ্গলবার রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, "যে হারে উনি বিজেপির মার্কাস ব্রুটাস দ্বারা পরিবৃত,অবস্থানে জুলিয়াস সিজারের মতো দাঁড়ায়।"

Bratya Basu: ‘অনেকটা ম্যাকবেথের মতো লাগছে’, বলেই রাজ্যপালকে নিয়ে ‘উটপাখি’ কবিতা আওড়ালেন ব্রাত্য
ফের সংঘাতের আবহ।
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 2:14 PM
Share

কলকাতা: সোমবারই নবান্ন থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার পরদিনই বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে কখনও তুলনা করলেন ‘জুলিয়াস সিজার’-এর সঙ্গে। কখনও রাজ্যপালের সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন ‘ম্যাকবেথ’কে। ব্রাত্যর এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, আবারও সংঘাতের আবহ জোরাল হচ্ছে রাজ্য-রাজভবনের অন্দরে। মঙ্গলবার রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, “যে হারে উনি বিজেপির মার্কাস ব্রুটাস দ্বারা পরিবৃত,অবস্থানে জুলিয়াস সিজারের মতো দাঁড়ায়। যে সম্প্রীতির বাতাবরণ দিয়ে রাজভবনের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা দফতরের সম্পর্ক বিস্মৃত হতে পারেন, কিন্তু আমরা যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এই বিস্মরণের দায় আমরা নিতে পারি না।” এরই রেশ ধরে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘উটপাখি’ কবিতার একটি লাইনও বলেন ব্রাত্য, ‘অখিল খুদায় শেষে কি নিজেকে খাবে? ফাটা ডিমে তা দিয়ে কী আর ফল পাবে, মনস্তাপেও লাগবে না ওতে জোড়া। এটাই বলতে পারি।’

সম্প্রতি রাজ্যপাল এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছিলেন, “যদি কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট বা আইনি সঙ্কট তৈরি হয় শেক্সপিয়রের হ্যামলেট হয়ে বসে থাকবেন না।” প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একাধিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন উপাচার্যদের। যা নিয়ে বিরক্ত উচ্চশিক্ষা দফতর।

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কুক্ষিগত করার যে মানসিকতা দেখা যাচ্ছে, কাল মুখ্যমন্ত্রীও উল্লেখ করেছেন, এটা ঠিক হ্যামলেটিয় আচরণ লাগছে না। বরং অনেকটা ম্যাকবেথের মতো লাগছে। তীব্র উচ্চাশা কাজ করছে। ম্যাকবেথের যেটা হামার্শিয়া।”

এদিকে এই তরজার সমালোচনায় সরব বাম-বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “রাজ্যপাল যা বলেছেন, যদি মর্মার্থ যদি তৃণমূল বলত, তাহলে গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠায় তৃণমূল এগিয়ে আসার চেষ্টা করত। তা না করে হ্যামলেট-ম্যাকবেথ বিতর্ক তুলে এটা বুঝিয়ে দিল তৃণমূল তৃণমূলের জায়গাতেই আছে।”

অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এসব বোকা বোকা জিনিস। ক্ষমতার ভাগাভাগি। কে কার থেকে বড় মাতব্বর হবে এসব। এতে মানুষের কোনও লাভ নেই। রাজ্যপাল বলছেন হ্যামলেটের মতো তিনি থাকবেন না। শিক্ষামন্ত্রী চাইছেন ম্যাকবেথের মতো থাকুন। ম্যাকবেথ, হ্যামলেট না জুলিয়াস সিজার না ব্রুটাস এতে আমাদের কী লাভ? শিক্ষা তো শেষ।”