SSC Recruitment Case: ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে চন্দন মণ্ডল, বেরিয়ে বললেন, ‘উপেনের দাবি ভিত্তিহীন’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 21, 2023 | 6:06 PM

Nizam Palace: এদিন চন্দন মণ্ডল দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই। পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্য তিনি ইতিপূর্বে ডেকে পাঠানো হলেও হাজিরা দিতে পারেননি বলেও দাবি করেন এদিন।

SSC Recruitment Case: ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে চন্দন মণ্ডল, বেরিয়ে বললেন, উপেনের দাবি ভিত্তিহীন
চন্দন মণ্ডল (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বাগদার চন্দন মণ্ডল। শনিবার নিজাম প্যালেসে চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডল। তাঁকে শুক্রবারই নিজামে হাজির হতে বলে নোটিস পাঠায় সিবিআই। সেইমতোই এদিন হাজিরা দিলেন চন্দন। এর আগে ইডি হাজিরার জন্য নোটিস দিয়েছিল চন্দন মণ্ডলকে। যদিও সে হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। এরপর ইডির তরফ থেকে চন্দনের নামে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে এই চন্দন মণ্ডলের নাম উঠে আসে। সেখানে ‘রঞ্জন’ নাম ছিল। তদন্ত যত এগিয়েছে, ক্রমেই ‘রঞ্জনে’র আদলে মিলে গিয়েছেন চন্দন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সিবিআই চন্দন মণ্ডলের নামে এইআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।

তবে এদিন চন্দন মণ্ডল দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই। পারিবারিক কিছু সমস্যার জন্য তিনি ইতিপূর্বে ডেকে পাঠানো হলেও হাজিরা দিতে পারেননি বলেও দাবি করেন এদিন। পাশাপাশি এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে চন্দন মণ্ডল বলেন, উপেন বিশ্বাস যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, চন্দন মণ্ডলের কাছে ব্যাঙ্ক লেনদন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের তরফে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে আগামিদিনে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে চন্দন মণ্ডলকে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তে নামে সিবিআই। দুর্নীতির মামলা সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন উপেন বিশ্বাস। সেখানে উপেন লিখেছিলেন, ‘রঞ্জন’ এমন একজন ‘সৎ’ ব্যক্তি যিনি চাকরির জন্য টাকা নেন। তবে চাকরি না হলে সেই টাকা ফিরিয়েও দেন। এরপরই জোর চর্চা শুরু হয় এই নাম নিয়ে। পরে উপেন বিশ্বাসও বলেছিলেন, “আমি শপথ নিয়ে বলছি, রঞ্জন আসলে চন্দন মণ্ডল ছিল।”

Next Article