কলকাতা: ছটপুজো (ChhatPuja) উপলক্ষে দু’দিন বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)। সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। রবিবার সারাদিন এবং সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ছট পুজো নিষিদ্ধ হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে। একইভাবে সুভাষ সরোবরও ছট পুজোর আয়োজন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট পুজোর সঙ্গে যুক্তরা।
ইতিমধ্যেই সাধারণের প্রবেশ রুখতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্র সরোবরের ১২টি গেটে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গেটগুলিতে হোডিং বোর্ড এবং ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে কোন কোন ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন করতে পারবেন মানুষ। শহরের মোট ৪৮টি ঘাটে ছটপুজোর আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সুভাষ সরোবরের আশপাশে টিনের অস্থায়ী শেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্য়েই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “এখন মানুষও জানেন। আর কেউ রবীন্দ্র সরোবরে যান না। পুরনিগম থেকে কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে পুকুরে। সেখানে চেঞ্জিং রুম থেকে শুরু করে সমস্তরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দু’বছর ধরে কেউ আর রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে যায় না। কৃত্রিম জলাশয় পুরনিগম এবং কেএমডিএ করছে। সবাই সেখানেই ছট পুজো করেন।”
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। গত কয়েক বছর ধরে এই নির্দেশকে সামনে রেখেই ছটপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে সরোবর চত্বরে। সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যেখানে পাঁচিলের উচ্চতা কম সেখানে টিন লাগানো হয়েছে। গেটে গেটে মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ছটপুজোয় বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পরিবেশ দফতর ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়াতে হবে। তার জন্য দু’ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। সবুজ বাজি বা গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স পোড়ানো যাবে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত।