কলকাতা: কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) থেকে নেওয়া টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হল সোমা চক্রবর্তীকে। এই নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। এমনটাই সূত্রের খবর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক মধ্যস্থতাকারী বা মিডলম্যানের নাম উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। কুন্তল ঘোষ, চন্দন মণ্ডল, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতি- এই তালিকায় বেশ দীর্ঘ। তবে এই পুরুষদের সঙ্গে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন রহস্যময়ী নারীর নামও। মূলত এই অভিযুক্ত মিডলম্যানদের সূত্র ধরেই উঠে এসেছে সেইসব নারীর নাম। যদিও নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁদের ভূমিকা আদৌ রয়েছে কি না তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। এরকমই একজন সোমা চক্রবর্তী। যিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি পার্লারের মালিক। তিনি কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকাই এবার তাঁকে ফেরানোর নির্দেশ দিল ইডি। কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে আসা ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। পাঁচদিনের মধ্যে এই টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ডিমান্ড ড্রাফট করে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
শুক্রবার সোমা চক্রবর্তীকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, বয়ানও রেকর্ড করা হয়। তিনি প্রথমেই স্বীকার করেছেন, কুন্তলের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন বারবার। সেই কারণেই কি টাকা ফেরৎ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডির তরফে? যদিও স্পষ্ট নয় কী কারণে টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
সোমা চক্রবর্তী শুক্রবার ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানান, ২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কিন্তু কীভাবে, কোথায় সেই পরিচয় হয়েছিল তা এখন আর মনে নেই। সোমা বলেন, “২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৮ সাল অবধি সাত-আট মাসে একটা লেনদেন হয়। ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দিয়েছিলেন কুন্তল। আমার বিজনেস আছে। আমার সোর্সিং লাগে। তাই টাকা নিয়েছিলাম। তবে এর বাইরে আর কোনও টাকা নিইনি।” এবার ইডির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই টাকা যেন কুন্তলকে ফিরিয়ে দেন। সেই টাকা ফেরানোর জন্য ৫ দিন সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পর সোমা কি ইডির স্ক্যানারের বাইরে যেতে পারবেন, নাকি তদন্তের স্বার্থে ডাক পেতে পারেন আবারও, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে।