কলকাতা: নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর গোপাল-নাম উঠে আসা ইস্তক একের পর এক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে। গোপালের সূত্র ধরে উঠে আসছে একাধিক নামও। এরকমই একজন বিশ্বনাথ গায়েন। বেহালার বাসিন্দা তিনি। ট্যুরস-ট্রাভেলসের ব্যবসা তাঁর। তাঁর দাবি, ট্রেন বা বিমানের টিকিট নিতে গোপাল দলপতির তাঁর অফিসে যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, এক সময় গোপাল তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। গোপাল তাঁকে আশ্বাস দেন ব্যবসার পুঁজিও তিনিই দেবেন। লাগলে টাকা দেবে গৌরী সেনই। অভিযোগ, এরপর একটা সংস্থাও তাঁরা খোলেন। তবে কাগজে কলমে কোম্পানি নথিভুক্ত করা ছাড়া আর কোনও কাজই এগোয়নি। এমনকী গোপালকে পরে বহুবার ফোন করলেও সাড়া পাননি।
বিশ্বনাথ গায়েন মেনে নেন, তিনি গোপাল দলপতিকে চেনেন। তবে তাঁর বক্তব্য, “গোপাল দলপতির নামে আমার সঙ্গে কোনও পার্টনারশিপ হয়নি। আমার সঙ্গে যে কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল, তার প্রধান আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কোম্পানি এখনও কাজই শুরু করেনি। আমার নিজের একটা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর কোম্পানি আছে, সেটাকেই ওই কোম্পানির সঙ্গে মিলিয়ে বড় করব পরিকল্পনা ছিল।”
বিশ্বনাথের দাবি, তাঁর নিজের যে কোম্পানি তা দীর্ঘদিনের। গোপালের সঙ্গে টাকার লেনদেনও হয়নি। বিশ্বনাথ বলেন, “কথা ছিল উনি-আমি টাকা দিয়ে একটা কোম্পানি ওয়েবসাইট তৈরি হবে। সেখান থেকে আমরা কাজ করব। একটা বড় জায়গা তৈরি হবে। তবে উনিই পরে ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে যান। পরে ওনাকে আর ফোনেও পাই না। কিছু হয়ও না। উনি দীর্ঘদিন আমার কাছে টিকিট কাটতেন। সেই থেকে আলাপ।”
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপাল দলপতির যুক্ত হওয়ার তথ্য সামনে আসছে। এক সময় অঙ্কের শিক্ষকতা করেছেন, ছাত্র পড়িয়েছেন ‘গোপাল স্যর’। কম্পিউটার সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার খোঁজ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তদন্ত যত এগোচ্ছে, পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো করে বেরিয়ে আসছে এক একটি স্তর।