কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল (Ayan Shil)। তাঁর গ্রেফতারির পরই ইডির (ED) নজরে তাঁর বান্ধবী। বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠে এসেছে ইডির আতস কাচের নীচে। একইসঙ্গে ইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার অয়নের সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। ইডি সূত্রে খবর, ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবারই বান্ধবীর কাছ থেকে একটি মেসেজ পেয়েছিলেন অয়ন। সেখানে ইডির অভিযানের আগাম সতর্কবার্তাও ছিল। এখানেই প্রশ্ন ইডির অন্দরে। অয়নের বান্ধবীর কাছে কীভাবে আগে থেকে ইডির অভিযানের খবর গেল? ইডির ঘরের খবর বাইরে দিচ্ছে কে, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।
ইডির হাতে অয়ন ও তাঁর বান্ধবীর একটি চ্যাট হিস্ট্রি উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে দেখা গিয়েছে সেই বান্ধবী অয়নকে সতর্ক করে লিখেছেন, ইডি যে কোনও সময় রেইড করতে পারে, জিনিসপত্র সরাতে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কোনওভাবে কি ইডির দফতরেও অয়নের বান্ধবীর কোনওরকম যোগসূত্র রয়েছে? যাঁর মাধ্যমে একদিন আগেই তিনি জানতে পেরেছিলেন ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। এই ঘটনার পর অয়নকে যেমন ইডি জেরা করছে, তা তো চলবেই। এবার শ্বেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদের একটা পরিস্থিতি তৈরি হল বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা। ইডি শ্বেতার কাছে জানতে চাইতে পারে, কোনও আগাম তথ্যের ভিত্তিতেই এই চ্যাট, নাকি যেহেতু ইডি, সিবিআই চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে, নিছক আন্দাজ থেকে এ কথা বলেছেন।
ইতিমধ্যেই অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তালিকা জমা দিয়েছে ইডি। এর মধ্যে শ্বেতার নামেও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে কত টাকা লেনদেন হয়েছে তাও দেখছে ইডি। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ব্যাঙ্ক ট্রানজাকশনের নথি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি শ্বেতার অন্যান্য কোথায় কী সম্পত্তি আছে, আয়কর রিটার্ন কী জমা দিতেন তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।