কলকাতা: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে। নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু কথোপকথনের রেকর্ড বিধায়কের ফোন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। রিপোর্ট আকারে সব ডেটা তদন্তকারীদের হাতে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। প্রথমদিন রাতভর জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চলে সিবিআইয়ের। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। দ্বিতীয় দিন তদন্তকারীদের সামনেই জীবনকৃষ্ণ তাঁর দু’টি মোবাইল বাড়ির পাঁচিল পার করে পুকুরে ফেলে দেন। এমন পরিস্থিতি হয় লোক এনে পুকুর ছেঁচার কাজ করাতে হয় সিবিআইকে। দীর্ঘ তল্লাশির পর একটি মোবাইল ফোন উদ্ধারও হয়। তবে দ্বিতীয়টি নিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হয়। পরে যদিও সেটি উদ্ধার করা হয়।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতেই জীবনকৃষ্ণ তাঁর মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন। এ মামলা আদালত অবধি গড়ায়। আদালতে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী বলেন, ‘যদি হেফাজতে থাকাকালীন মোবাইল ফেলে দেওয়া হয় তাহলে সেটা সিবিআইয়ের গাফিলতি। তার জন্য কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ একইসঙ্গে এই মোবাইল ফেলে দেওয়ার বিষয়টিকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলেও আদালতে দাবি করেন জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী। এসবের মধ্যেই বিধায়কের ফোন দু’টি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে সেই অনুমোদন পাওয়ার পর তা পাঠানো হয়েছিল। সে সংক্রান্ত তথ্যই এবার সামনে এলো।