JU Convocation: সমাবর্তনে সরগরম যাদবপুর, রাজ্যপালের সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 24, 2022 | 1:01 PM

Jadavpur University: একেবারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ধাঁচে সরব যাদবপুরের ছাত্ররা।

JU Convocation: সমাবর্তনে সরগরম যাদবপুর, রাজ্যপালের সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান
ছাত্র আন্দোলনের উত্তাপ ছড়াল যাদবপুরে।

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) সমাবর্তনের দিনই ছাত্র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তাপ ছড়াল। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে একদিকে যখন উপস্থিত হন নতুন রাজ্যপাল (Governor CV Anand Bose) তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তখন ছাত্র সংসদের ভোটের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ক্যাম্পাস। একেবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ধাঁচে এদিন স্লোগান তোলেন ফেটসুর সদস্যরা। সোচ্চার হয় এসএফআইও। তাঁদের বক্তব্য, ২০২০ সালে শেষ ছাত্র সংসদের ভোট হয়। এরপর আর নির্বাচন হয়নি। আন্দোলনকারী এক ছাত্রের কথায়, “গত তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনওরকম কোনও ছাত্র সংসদের ভোট হয়নি। অগণতান্ত্রিকভাবে সমস্ত নীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে কর্তৃপক্ষের দ্বারা। ছাত্রছাত্রীদের ইউনিয়নকে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার একটা প্রয়াস চলছে। এটা আমরা মানব না। আমাদের স্পষ্ট দাবি, অবিলম্বে ইউনিয়ন ইলেকশন করানো হোক। ছাত্র ছাত্রীদের অধিকারের জায়গা এটা। আজ বহু পড়ুয়া সমাবর্তন থেকে ডিগ্রি নিচ্ছেন না। তাঁরা ভিতরে জানাবেন, তাঁরা ভোট চান। আমাদের এই লড়াই ভোট চেয়েই।”

এর আগেও সমাবর্তনের মঞ্চে শংসাপত্র নিয়ে অস্বীকারের ছবি দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৪ সালে ‘হোক কলরব’ ঘিরে যখন উত্তাল যাদবপুরের ক্যাম্পাস। সেই সময় ডিগ্রি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন গীতশ্রী সরকার নামে এক ছাত্রী। ২০২১ সালেও সেই ছবি ফিরেছিল ছাত্রী দেবস্মিতা চৌধুরীর হাত ধরে। সমাবর্তন মঞ্চে স্বর্ণপদক নিতে গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপি ছিঁড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী দেবস্মিতা বলেছিলেন, ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে (আমরা কাগজ দেখাব না)।’

তবে এদিন সমাবর্তনের হলে কোনও স্লোগানিং হয়নি। যা হয় তা বাইরেই। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় সোচ্চার হন ছাত্র ছাত্রীরা। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে গাড়ি থেকে নামার পরই স্লোগান দিতে থাকেন। ছাত্রদের মূল বক্তব্য, তিন বছর ধরে ভোট বন্ধ। সেই নির্বাচন দ্রুত করার বার্তা রাজ্যপালের কাছে যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, প্ল্যাকার্ড হাতে এদিন তাঁরা সোচ্চার হন। তবে তাঁদের স্পষ্ট কথা, রাজ্যপালকে অসম্মান করার কোনও ভাবনা তাঁদের মনে নেই। দাবি একটাই, ছাত্র সংসদের ভোট হোক দ্রুত।

ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যপালকে অসম্মানের ভাবনা যখন নেই তাহলে এই দিনটাই তাঁরা দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য কেন বেছে নিলেন? যাঁরা ছাত্র সংসদের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁদের বক্তব্য, এরকম একটা দিন রাজ্যপাল স্বয়ং ক্যাম্পাসে এসেছেন, সেখানে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরলে অনেক বৃহৎ স্তরে দাবি পৌঁছে দেওয়া যাবে। এদিন সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বার্তা দেন, ইউনিয়নের গুরুত্ব তিনি বোঝেন। আশা রাখছেন সমস্যার সমাধান হবে।

Next Article