কলকাতা: এর আগে ‘মালিক’-এর কথা বলেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্র (Kalighater Kaku)। বলেছিলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক, তিনিই আমার অন্নদাতা।” এবার বললেন ‘সাহেব’-এর কথা। আরও একবার টিভি নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ সুজয় ভদ্র। এবার অভিষেককে সাহেব বলে তুলে ধরেন সুজয়। বলেন, তাঁর সাহেব অন্য গ্রহের মানুষ। কেউ তাঁকে ছুঁতেও পারবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাহেব’ কারও সঙ্গে দেখা করেন না, কথাও বলেন না। সুজয় ভদ্র দাবি করেছেন, “আমার সাহেব জীবনে এই সমস্ত কোনও ব্যাপারে কাউকে কখনও এন্টারটেন করেননি। আমার ধারণা ভবিষ্যতেও করবেন না। জীবনে না। আপনি কখনও একটা ফোন কল দেখাতে পারবেন না, অভিষেক ব্যানার্জিকে করেছি। আপনি কখনও দেখাতে পারবেন না আমি অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেছি।”
সুজয় আরও বলেন, “আমার সাহেব এইভাবে নিজেকে ঠিক রাখেন, যাতে আপনারা কাদা ছেটাতে না পারেন।” এরপর ফের একবার সুজয় ভদ্র বলেন, “প্রতিদিন বলছি, আজও বলছি, অভিষেক ব্যানার্জি অন্য গ্রহের মানুষ। তাঁকে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। এইরকম কথাও বলছি। কারণ অভিষেক ব্যানার্জি কোনও বিজনেসম্যানের সঙ্গে কথা বলেন না।” কালীঘাটের কাকু বলেন, তাঁর কাছে কখনও কখনও চাকরি চেয়ে প্রস্তাব এসেছে। তবে তিনি কিছুই করেননি। এখানেও ‘সাহেব’-এর কথাই তুলে ধরেন সুজয়।
বলেন, “আমার সাহেব আমাকে বলেন, তোমার কাছে লোক কেন আসে? তুমি কি কাউন্সিলর? নাকি বিধায়ক? তুমি কেন লোকের চাকরির আবেদন এন্টারটেন করবে? আমার সাহেব সবসময় বলেন। বলেন, যদি মনে হয় কেউ খুব নিডি, তুমি এলাকার কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে যাও, বিধায়কের কাছে যাও।” এর আগেও সুজয় বলেছিলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক। এখন উনি নেই। কিন্তু চাকরিটা উনিই দিয়েছেন। আজকে ভাতটা তো আমার তাঁর পয়সাতেই হয়।”
গোপাল দলপতির মুখে প্রথমবার এই কাকুর কথা শোনা যায়। এই গোপালের কথা আবার সংবাদমাধ্যমে প্রথমবার বলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। যিনি ইডির হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। অভিযোগ, কাকুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। তবে কুন্তল ঘোষকে বৃহস্পতিবার এই কাকুর প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘কাকু বলতে আমি একজনকেই চিনি। আমার বাবার ভাই।’