Mamata Banerjee: ‘আমার বাড়ির বউরা দু’টো ছোট্ট ক্লিপ কিনে দিলেও খুশি, দিদি দিয়েছে’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 02, 2023 | 6:21 PM

Mamata Banerjee: সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক ছিল।

Mamata Banerjee: আমার বাড়ির বউরা দুটো ছোট্ট ক্লিপ কিনে দিলেও খুশি, দিদি দিয়েছে, প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: পরিবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিশেষ করে তাঁর বাড়ির বউদের প্রাণ খোলা প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক জীবনের লড়াই, সংগ্রামের কথা বলতে বলতে তোলেন পরিবারের প্রসঙ্গও। বলেন, “আমাদের পরিবার অনেক বড় পরিবার। এখন সকলের পরিবারই বড় হয়েছে। কেউই আজ এক জায়গায় থাকেন না। সবাই নিজের মতো করে। তিনটে প্রজন্ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারা নিজের নিজের মতো দাঁড়িয়েছে। আমার কাউকে সহযোগিতাও করতে হয় না। আর কারও আমাকেও সাহায্য করতে হয় না।” এ কথার রেশ ধরেই বাড়ির বউদের কথা উঠে আসে মমতার মুখে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি একটা ব্যাপারে আমার বাড়ির বউদের খুব প্রশংসা করি। আমি অনেক সময় শুনি বউরা এই চায়, ওই চায়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি বাইরে গেলে যদি একটা ছোট্ট দোকান থেকে দু’টো মাথার ক্লিপ কিনে দিই তাতেই ওরা খুশি হয়ে যায়। দিদি দিয়েছে। দার্জিলিংয়ে গেলে একটা চাদর কিনে হাতে দিলে, তাতেই খুশি হয়েছে। কোনওদিন সোনা, মুক্তো, হিরে চায় না। পুজোতে একটা শাড়ি দিলেই মুখটা জ্বলজ্বল করে। কারণ, তারা এভাবে তৈরি হয়েছে। মানসিকতাটা তৈরি হয়েছে।”

তৃণমূল কংগ্রেস ১ জানুয়ারি ২৫ বছর পূর্ণ করল। রবিবারই টুইটারে ‘মা, মাটি, মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নজরুল মঞ্চের সভা থেকে মমতা বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসও গতকাল ২৫ বছর পূর্ণ করে ২৫ প্লাসে পা দিয়েছে। এই সময়ে অনেক মানুষকে আমরা হারিয়েছি। আমাদের জীবনের এক চতুর্থাংশ সময় কেটে গিয়েছে সংগ্রাম করতে গিয়ে। দিন রাতের হিসাব ছিল না। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর তো অনেক পরে, ২০০৮ সালের কথা। ১৯৯৩ সালে ফিরে যান তো। গুলি চলল, ২১ জুলাই। মেমারির কারেন্দা থেকে কোচবিহারের নার্স, হাওড়ার বিমলা দে, বেহালার রঘুনন্দন তিওয়ারি। শান্তিপুর, রাজারহাটে গুলি চলল, শুধু গুলির ফোয়ারা দেখতাম আমরা। অনেক কষ্টে সেসব দিন পার করেছি।”

Next Article