কলকাতা: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জীবনকৃষ্ণ ও তাঁর ৫০০ কোটির যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বলল আর হয়ে গেল? আপনারাই তো এগুলো করেন। ৫০০ কোটি টাকা বলল, আপনি গুনে দেখেছেন? আপনার বাড়িতে গিয়ে যদি বলি ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে মানবেন? প্রমাণ কী?” প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের তিন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাও।
যদিও এদিন এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা গেমপ্ল্যান। যত বেশি করে বিধায়ককে জুড়ে দেওয়া যায়, সেটাই চাইছে। যাতে বিধানসভায় না আসতে পারে। আমাদের সংখ্যাটা কমিয়ে দিতে পারে। বাদবাকি কিনতে পারে। এইসব প্ল্যান করছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ব্যাপম কেসে মধ্য প্রদেশে কী হয়েছিল? চাকরির নামে, পরীক্ষার নামে? যারা তদন্ত করছিল, ৫০ জনকে মার্ডার করে দিয়েছে। কী ফল বেরোল? আজ বাংলাকে নিয়ে, কারও ঘরে একটা অ্যাডমিট কার্ড পেলেও। আমি তো সাতবারের সাংসদ ছিলাম। বহু মানুষই এরকম করে। আমি যখন ছিলাম, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ইন্টারভিউ হলে আমার কাছে আসত। এসে বলত, দিদি একটা অনুরোধ করে দাও না, যদি চাকরিটা হয়ে যায়। তো হাম ফরোয়ার্ড করতে থে মিনিস্টার কো। জাস্ট ফরোয়ার্ডিং দিস অ্যাপিল টু ইউ।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা বেশি এবং বিজেপির কয়েকজন বিধায়কও তাঁদের সঙ্গে, তাই বড় কিছু করতে পারছে না। তবে তাঁর দলের আরও কয়েকজন বিধায়ক নজরে আছেন বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন। মমতার কথায়, “বিজেপির ৬-৭ জন আমাদের সঙ্গে আছে। তাই কিছু করতে পারছে না। তবে এখন ৫-৬ জন এমএলএকে টার্গেট করেছে। কিন্তু খুঁজে দেখুন তো বিজেপির কোনও এমএলএকে টার্গেট করেছে?”