কলকাতা: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) নিত্য নতুন কাঁটা। পড়ুয়ারা মুরগির মাংস, ফল পাবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এদিকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, মিড ডে মিলে পড়ে রয়েছে সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, পোকামাকড়। মেদিনীপুর, বীরভূম, মালদহ, পাঁশকুড়া, জায়গায় জায়গায় একই ছবি। গত কয়েকদিনে একাধিকবার এই অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা এই খাবারের দায়িত্বে তাঁদের দায়িত্ববোধ নিয়েও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবশ্য অঙ্গনওয়াড়ির রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আঙুল দেখিয়েছেন তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে। কিন্তু গাফিলতি যারই থাকুক না কেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মানছেন, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেকোনও সময় ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত কয়েকদিনে কোথায় কোথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
পাঁশকুড়ার মাইসরা এলাকায় শ্যামপুর আইসিডিএস কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রেই খিচুড়ির বালতিতে মরা টিকটিকি পাওয়া যায় সম্প্রতি। এখানে প্রায় ৯১ জনের জন্য রান্না হয়। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সেখানেই খিচুড়ির মধ্যে পড়েছিল বিশাল একটি টিকটিকি। গরমে একেবারে ফুলে ওঠে টিকটিকিটি। যিনি রান্নার দায়িত্বে, তাঁর বক্তব্য ছিল, কীভাবে এটা হল তিনি বুঝতেই পারছেন না। অভিভাবকদের অভিযোগ, যেখানে রান্না করা হয়, সেখানে আলো পর্যন্ত নেই।
৯ জানুয়ারি বীরভূমে ময়ূরেশ্বরের দাসপলসা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় মিড ডে মিলের ডালে সাপ পড়েছিল। যে ৪০ জন পড়ুয়া সেই খাবার খেয়েছিল, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি ৬ পড়ুয়ার শরীর খারাপ করে বলে দাবি করেন বাড়ির লোকেরা।
১১ জানুয়ারি মিড-ডে মিলের চালের ড্রামে মরা টিকটিকি, ইঁদুর পড়ে থাকতে দেখা যায়। চাঁচল থানার সাহুর গাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারি স্কুলের এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয়। মহকুমাশাসক জানান, বিডিওকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। অভিভাবকরা অভিযোগ তোলেন, এখানে খাবার নিম্নমানের দেওয়া হয়। এবার চালের ড্রামে এমন দৃশ্য।
গত ডিসেম্বরে নদিয়ার একটি স্কুলে মিড ডে মিলের সোয়াবিনে পোকা পাওয়া গিয়েছিল। অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছিলেন, শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি গেলে, সেই খিচুড়িতে অজস্র পোকা পাওয়া যায়। নদিয়ার নাকাশিপাড়া রামেশ্বরপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় অভিভাবকরা বিক্ষোভও দেখান।