Ekbalpur Body Recover: একবালপুরে বহুতলের ছাদে ঘুড়ি-লাটাইয়ের সঙ্গে পড়ে যুবকের রক্তাক্ত দেহ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 30, 2022 | 1:36 PM

Kolkata News: নিহতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা দরকার। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি তাঁদের।

Ekbalpur Body Recover: একবালপুরে বহুতলের ছাদে ঘুড়ি-লাটাইয়ের সঙ্গে পড়ে যুবকের রক্তাক্ত দেহ
কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজন।

Follow Us

কলকাতা: ময়ূরভঞ্জ এলাকার বহুতলের ছাদ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ (Body Recover)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় একবালপুর (Ekbalpur) থানার ময়ূরভঞ্জ (Mayunbhanj) এলাকায়। নিহত ওই যুবকের নাম মহম্মদ সাজ্জাদ হোসেন (২১)। তাঁর বাড়ির লোকজন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরন তিনি। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি সাজ্জাদ। এরপরই বুধবার সকালে স্থানীয় এক বহুতলের ছাদ থেকে ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা দরকার। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি তাঁদের। আরও অভিযোগ, সাজ্জাদকে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে তাঁরা থানায় অভিযোগও জানাতে চলেছে বলে জানান। অন্যদিকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে একবালপুর থানার পুলিশ। এসে পৌঁছয় ফরেন্সিক টিমও। তবে সোমবার রাতভর সাজ্জাদকে না পাওয়া গেলেও কোনও নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ পরিবারের তরফে দায়ের করা হয়নি। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। যে ছাদ থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে ঘুড়ির লাটাইটিও পড়েছিল। দেহ শনাক্তও করেছে যুবকের বাড়ির লোকজন।

সাজ্জাদের ভাই মহম্মদ আজাদ হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার বিকেল ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ সাজ্জাদ বাড়ি থেকে বের হয়। বেরনোর আগে ঘরের কিছু কাজকর্মও করে। এরপর বেরোয়। কিন্তু বেরনোর সময় মোবাইল ফোন ঘরেই রেখে যায়। এরপর থেকে আর কোনও খবর পাইনি। রোজই এই সময় ও বাড়ি থেকে বেরয়। কিন্তু মোবাইল ফোন সঙ্গে থাকে। এ দিন না থাকায় আমরা যোগাযোগও করতে পারিনি। পরে পুলিশ আসে আমাদের বাড়িতে একটা ছবি নিয়ে। এরপর আমরা গিয়ে দেখি সাজ্জাদ। দেখে মনে হচ্ছে কেউ ঠেলে ফেলেছে।” একইসঙ্গে নিহতের ভাই জানান, বাড়িতে রাখা মোবাইল ফোনে প্রচুর ফোন এসেছে এই সময়ের মধ্যে। বেশ কয়েকজন বন্ধুও এসেছিলেন সাজ্জাদের খোঁজে। নিহতের মায়ের কথায়, “আমার ছেলেকে কেউ মেরে ফেলেছে। আমরা যা দেখলাম, মাথা থেকে রক্ত পড়ছে, ভয়াবহ অবস্থা।”

Next Article