Primary Teacher: ‘আদালত কোনও চিলড্রেন পার্ক নয়’, পর্ষদের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 16, 2022 | 5:36 PM

Primary Recruitment: প্রাথমিকের তালিকা থেকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায় চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যান তাঁরা।

Primary Teacher: ‘আদালত কোনও চিলড্রেন পার্ক নয়’, পর্ষদের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Follow Us

কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ফের কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘আদালত কোনও চিলড্রেন পার্ক নয়।’ তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘হাজার হাজার পরীক্ষার্থী রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছেন। আর বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় অভিযুক্তরা দেরিতে আদালতে আসছেন।’ এরপরই চিলড্রেন পার্কের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে। মূলত, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর টেট হয়। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকায় থাকা ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বরখাস্ত হওয়া ওই ২৬৯ জনের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। যদিও সেই বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।

মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, এভাবে কাউকে চাকরি থেকে কীভাবে বরখাস্ত করা যায়? তাঁরা জানান, আদালত এই মামলায় তাঁদের পার্টি পর্যন্ত করেনি। সুপ্রিম কোর্ট উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি ওই মামলাকারীদের হলফনামা জমা দেওয়া ও শুনানিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়। একক বিচারপতির বেঞ্চ সব দিক বিবেচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিজেদের চাকরির সমর্থনে ১২৭ জন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেন। সেই ১২৭ জনের মধ্যে ২৯ জন তাঁদের চাকরির সমর্থনে লিখিত যুক্তির হলফনামাও জমা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আদালতে জানান, ১০ জন শিক্ষকের ঠিকানা অসম্পূর্ণ রয়েছে। ভারতীয় ডাকের মাধ্যমে ১০ শিক্ষকের বাড়িতে আদালতের মামলার নথি পৌঁছানো যায়নি।

এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এই ১০ জনের ঠিকানায় পৌঁছতে জেলার পুলিশসুপার তৎপর হবেন। ১০ জন শিক্ষকের ঠিকানায় পৌঁছতে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশসুপারদের নির্দেশ দেন। স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ১০ জন শিক্ষকের ঠিকানায় পৌঁছতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

Next Article