Mahila Trinamool: ‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব’, বিলকিস বানোকাণ্ডে ১১ জনের মুক্তির প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল থেকে হুঁশিয়ারি চন্দ্রিমার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 25, 2022 | 5:26 PM

Bilkis Bano: ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় বিলকিস বানোর পরিবারের সাতজনকে খুন এবং পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা বিলকিসকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ১১ জনের বিরুদ্ধে।

Mahila Trinamool: আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব, বিলকিস বানোকাণ্ডে ১১ জনের মুক্তির প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল থেকে হুঁশিয়ারি চন্দ্রিমার
মহিলা তৃণমূলের কর্মসূচি শহরে। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে ১১ জনের মুক্তি-সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাজপথে নামল মহিলা তৃণমূল। এদিন বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত এই মিছিলে অংশ নেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়রা। এই মিছিল থেকে বিলকিসকাণ্ডে দোষীদের পুনরায় গরাদের পিছনে পাঠানোর দাবি ওঠে।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার। অন্যদিকে গরু পাচারের মামলায় শাসকদলের আরও এক ‘ওজনদার’ নেতা জেল হেফাজতে। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পেয়ে জন্য দিল্লি অবধি ছুটতে হচ্ছে একাধিক পুলিশকর্তাকে। বিভিন্ন দিক থেকে বিরোধীদের সমালোচনায় কার্যত কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে পথে নামতে দেখা গেল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসকে।

বিরোধীদের অভিযোগ, নজর ঘোরাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। যদিও মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, “ধর্ষণ একটা জঘন্যতম অপরাধ। নজরটা ওখানেই থাকা উচিৎ। যে দু’জনকে নিয়ে বিজেপির এত মাথা ব্যথা, তা বিজেপির না ভাবলেও চলবে। আইন বিষয়টা দেখছে। বিজেপিকে দেখতে হবে না। সিবিআই, ইডি তার কাজ করছে। ধর্ষণকারীদের কেন রেহাই দিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্র কেন এই ঘটনা নিয়ে নীরব সেটার জবাব দিক।”

অন্যদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “যেখানেই অবিজেপি সরকার বিশেষ করে বাংলায় যেভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে নিত্যদিন করা হচ্ছে এর তীব্র প্রতিবাদ করি। একই অভিযোগে অভিযুক্ত অন্যেরা, তাদের গায়ে আঁচড় পড়ছে না। তারা যেহেতু বিজেপির অনুগত তাই। তার বিরুদ্ধেও আজ আমাদের প্রতিবাদ। অভিযোগ যদি এক হয়, একই তো তার পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ, তা হয়নি। একইসঙ্গে বিলকিস বানোর ঘটনা আজও আমাদের লজ্জায় ফেলছে। সিবিআইয়ের কাছে এই মামলা তদন্তের জন্য ছিল। তার পর গুজরাটের কোর্ট থেকে তা বোম্বের কোর্টে স্থানান্তরিত হয়। বোম্বে কোর্ট দণ্ড দেয় এবং এরা দণ্ডিত অপরাধী। সেই ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হল। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় বিলকিস বানোর পরিবারের সাতজনকে খুন এবং পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা বিলকিসকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ১১ জনের বিরুদ্ধে। তাদের যাবজ্জীবন সাজাও দেওয়া হয়। গত ১৫ অগস্ট গুজরাট সরকার সেই ১১ জনকে গোধরা জেল থেকে মুক্তি দেয়। যা ঘিরে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এদিনের মিছিল থেকে তৃণমূল সুর চড়ায়, নারীদের অপমান করা হয়েছে। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের এদিনের মিছিল।

মিছিল থেকে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দিন দিন যেভাবে জিনিসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এখানে ইডি সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে এক ঘরে করার চেষ্টা করা হচ্ছে, অন্য রাজ্যে ধর্ষণে দোষী মুক্ত হয়ে যাচ্ছে, অথচ বাংলায় তৃণমূলের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ঠেলে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদেই আজ আমরা রাস্তায়।”

Next Article