কলকাতা: ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে বসেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) পড়ুয়ারা। সপ্তাহ ঘুরে গিয়েছে এই আন্দোলনের। বেশ কয়েকজন ছাত্র দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশনেও বসেছেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে ছাত্ররা। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গেও দফায় দফায় কথা বলেছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষরা। তবে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। শুক্রবার বৈঠক ছিল মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের। অভিযোগ, সেই বৈঠকে রফাসূত্র তো মেলেইনি, উল্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ায় দু’পক্ষ। মাঝপথে ভেস্তে যায় বৈঠক। অভিযোগ, মিটিং চলাকালীন ছাত্র প্রতিনিধিদের তরফে পদাধিকারীদের ‘চেয়ারে বসার যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান অধ্যক্ষ, সুপার-সহ বাকি বিভাগীয় প্রধানরা। বৈঠক মাঝপথে থামিয়েই স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে বেরিয়ে যান প্রিন্সিপাল ও সুপার। এরইমধ্যে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কৌশিক বড়ুয়া নামে আন্দোলনকারী এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। প্রয়োজনীয় সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এদিন বিকেলে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন কৌশিক। বাকি আন্দোলনকারীরা তাঁকে তড়িঘড়ি মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে।
কাউন্সিলের বৈঠক ভেস্তে যাওয়া প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী এক ছাত্র বলেন, “২২ তারিখ ভোটের দিন। সেই দিন ধরে এগোনোর কথাই বলি। ওনারা বলছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ রয়েছে। তাঁরা সরকারি চাকরি করেন বলে নোটিস দিয়েও তা মানতে পারছেন না। আমরা জানতে চাই এর সমাধান কী? তা ওনারা দিতে পারেননি। বলছেন, তাঁরা কলেজের সরকারি চাকুরিজীবী।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, এদিন বৈঠকে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের উপর চাপ রয়েছে। তাই তারা কোনও মধ্যস্থতার পর্যায়ে আসতে পারছেন না। এক আন্দোলনকারীর কথায়, “তখন আমরা বলি, এখানে আপনাদের সন্তানের মতো ৬টি ছেলে না খেয়ে ৯ দিন ধরে লড়াই করছে বিছানায়। বাকি ছাত্ররাও লড়াই করছে বাইরে। ওনারা বলেন, ওনারা কিছু করতে পারবেন না। প্রয়োজনে ইস্তফা দিতে পারেনও বলেন। কঠিন সময়ে ছাত্রদের পাশে যে শিক্ষক দাঁড়াতে পারেন না, তিনি তো শিক্ষক নন। তবে কারও চেয়ারে বসার যোগ্যতা নিয়ে কোনও কথাই বলা হয়নি।”