Sougata Roy: মানুষের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো? নকশাল স্লোগানকে হাতিয়ার করে সৌগতর সাফাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 14, 2022 | 5:47 PM

Sougata Roy: এক অনুষ্ঠানে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, "যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।"

Follow Us

কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের ‘বেলাগাম’ হতে শোনা গিয়েছে। বিরোধীদের লক্ষ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ইলামবাজারের দুলাল রায়, দুবরাজপুরের পীযূষ পাণ্ডে, পূর্ব বর্ধমানের অরূপ মিদ্যারা। মদন মিত্র কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলের প্রথম সারির নেতারাও পিছিয়ে নেই। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের নামও। এক অনুষ্ঠানে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।” যদিও তাঁর এই বক্তব্যের জন্য দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বুঝে সাফাইও দিয়েছেন সৌগত। বলেছেন, নকশালদের স্লোগানকে ধার করে রূপক হিসাবে এই কথা তিনি বলেছেন।

বিরোধীদের নিশানা করে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমরা ২০২৬ পর্যন্ত ম্যান্ডেট নিয়ে আছি। আমাদেরই সরকার চলবে। আর যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিনের জন্য অপেক্ষা করুন। বিজেপি, সিপিএম কারও ক্ষমতা নেই এই মিছিল করবে। তাদের আমি আজকে এই কামারহাটির মাটিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, কামারহাটিতে তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।”

সৌগতর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মদন মিত্র এসব বলে, লোকে মেনেও নেয়। কিন্তু অধ্যাপক সৌগত রায় যখন বলছেন তখন বুঝতে হবে কিছু একটা গোলমাল আছে। লোকে ঘাবড়ে গেলে এরকম কথা বলে।” অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “এসব চাপে পড়ে বলছেন। সৌগত রায় এরকম কথা বলার লোক না। হয়ত তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছেন এরকম গালাগালি দিতে হবে, তাই এসব বলছেন।”

যদিও নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে সৌগত রায়কেই বলতে শোনা যায়, “এ বক্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা নেই। নকশালদের এটা স্লোগান ছিল, বড়লোকের চামড়া দিয়ে গরীবের পায়ের জুতো তৈরি হবে। এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃণমূলকে যারা চোর বলছে, আমিও তাদের উদ্দেশে রূপকার্থে এটা ব্যবহার করেছিলাম। তবে না করলেই হয়ত ভাল হত। সেইটুকু ভুল হয়েছে। তবে এটা এমন কিছু খারাপ স্লোগান নয়। আমি এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”

আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল

কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতাদের ‘বেলাগাম’ হতে শোনা গিয়েছে। বিরোধীদের লক্ষ্য করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ইলামবাজারের দুলাল রায়, দুবরাজপুরের পীযূষ পাণ্ডে, পূর্ব বর্ধমানের অরূপ মিদ্যারা। মদন মিত্র কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলের প্রথম সারির নেতারাও পিছিয়ে নেই। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের নামও। এক অনুষ্ঠানে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।” যদিও তাঁর এই বক্তব্যের জন্য দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বুঝে সাফাইও দিয়েছেন সৌগত। বলেছেন, নকশালদের স্লোগানকে ধার করে রূপক হিসাবে এই কথা তিনি বলেছেন।

বিরোধীদের নিশানা করে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমরা ২০২৬ পর্যন্ত ম্যান্ডেট নিয়ে আছি। আমাদেরই সরকার চলবে। আর যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিনের জন্য অপেক্ষা করুন। বিজেপি, সিপিএম কারও ক্ষমতা নেই এই মিছিল করবে। তাদের আমি আজকে এই কামারহাটির মাটিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, কামারহাটিতে তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।”

সৌগতর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মদন মিত্র এসব বলে, লোকে মেনেও নেয়। কিন্তু অধ্যাপক সৌগত রায় যখন বলছেন তখন বুঝতে হবে কিছু একটা গোলমাল আছে। লোকে ঘাবড়ে গেলে এরকম কথা বলে।” অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “এসব চাপে পড়ে বলছেন। সৌগত রায় এরকম কথা বলার লোক না। হয়ত তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছেন এরকম গালাগালি দিতে হবে, তাই এসব বলছেন।”

যদিও নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে সৌগত রায়কেই বলতে শোনা যায়, “এ বক্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা নেই। নকশালদের এটা স্লোগান ছিল, বড়লোকের চামড়া দিয়ে গরীবের পায়ের জুতো তৈরি হবে। এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃণমূলকে যারা চোর বলছে, আমিও তাদের উদ্দেশে রূপকার্থে এটা ব্যবহার করেছিলাম। তবে না করলেই হয়ত ভাল হত। সেইটুকু ভুল হয়েছে। তবে এটা এমন কিছু খারাপ স্লোগান নয়। আমি এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”

আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল

Next Article