কলকাতা: ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেবে পর্ষদ। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও চলতি মাসে শংসাপত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। একইসঙ্গে তিনি জানান, মামলার ভয়ে পুরনো কনফিডেন্সিয়াল কোম্পানি শংসাপত্র দিতে নারাজ। আদালতে মামলার ভয়ে আর কাজ করতে চায় না ওই সংস্থা। ইতিমধ্যেই নতুন কনফিডেন্সিয়াল কোম্পানিকে বরাত দিয়েছে পর্ষদ। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন পর্ষদ সভাপতি।
কেন এখনও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা শংসাপত্র হাতে পাননি, তা নিয়ে গৌতম পাল বলেন, “যাঁরা বোর্ডকে সে সময় সাহায্য করতেন অর্থাৎ কনফিডেন্সিয়াল সেকশনে ছিলেন, তাদেরই এই শংসাপত্র দেওয়ার কথা। আমরা তাদের অনুরোধ করি শংসাপত্র তৈরি করার জন্য। তবে তারা তাতে রাজি হয়নি। জানায়, পর্ষদের কাজ তারা করবে না। বলে, ‘আমরা কোর্ট কেসে জড়িয়ে যাচ্ছি, আর কাজ করতে পারব না।‘ শেষ মুহূর্তে এটা জানানো হয় পর্ষদকে। এরপর বিকল্প হিসাবে আরেকজন কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসরকে দায়িত্ব দেওয়াই পর্ষদের কাজ। আদালতে অনুরোধ করি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিন। তারমধ্যে আশা করছি ২০১৪ সালের সমস্ত প্রার্থী যাঁরা পাশ করেছিলেন তাঁদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারব।”
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা পাশের সার্টিফিকেট না পাওয়ায় নানা ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এমনও শোনা গিয়েছিল, আর্থিক টানাটানির সঙ্গে এই সার্টিফিকেট দিতে না পারা জড়িয়ে। যদিও পর্ষদ সভাপতির কথায়, “আর্থিক অনটনে আমরা শংসাপত্র দিতে পারিনি, এ কথা কিন্তু বলিনি।” একইসঙ্গে তিনি জানান, ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর যাঁরা ২০২২ সালে টেট পাশ করলেন, তাঁদের জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে পদ চাইবে পর্ষদ। তারপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।