কলকাতা: শহরে ফের মরণোত্তর অঙ্গদান (Organ Donation)। কৃষকের অঙ্গে নতুন জীবন পেলেন শহরের এক চিকিৎসক। সঙ্গে অঙ্গ পেলেন আরও তিনজন। পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এসএসকেএমের (SSKM) ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন হুগলির বাসিন্দা বাসুদেব খাঁড়ার। বাসুদেবের পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নতুন জীবন পেলেন চারজন। কিডনি পেয়েছেন ৩৯ বছরের এক ব্যক্তি। আরেকটি কিডনি পেয়েছেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ২৮ বছরের এক যুবক। লিভার পেয়েছেন এক চিকিৎসক। হৃৎপিণ্ড পেয়েছেন মেডিকায় চিকিৎসাধীন ৫০ বছরের প্রৌঢ় বাদশা খান।
বলাগড়ের বেহুলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বাসুদেব খাঁড়া। এক পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ে তাঁর। তাঁর আত্মীয় মৃত্যুঞ্জয় খাঁড়া বলেন, “সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কাকুকে একটা গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। ৩ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে।” এরপর ক্রমেই খারাপ হয় বাসুদেব খাঁড়ার শারীরিক অবস্থা। মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নেন অঙ্গদান করবেন। তাতে চারজন নতুন জীবন পাবেন, তাই বা কম পাওয়া নাকি, বলছিলেন নিহতের আত্মীয়রা। বাসুদেব খাঁড়ার ওই আত্মীয়ের কথায়, “কাকু ওই চারজনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন, এই ভাবনাই প্রথম আমাদের মাথায় আসে। তারপরই আমি আর কাকুর ছেলে সিদ্ধান্ত নিই অঙ্গ দেব।” এই অঙ্গে নতুন জীবন পাচ্ছেন চারজন।
গত জুলাইয়েই শহরে অঙ্গদান হয়। দুর্ঘটনায় আহত হাবড়ার এক ৫৮ বছর বয়সী মহিলার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রেন ডেথ হয়েছিল। এরপরই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। তিনি ঢাকুরিয়ার এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গ্রিন করিডর করে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার পরই পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে হাওড়ার আন্দুলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক তরুণীর ব্রেন ডেথের পরও অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।