কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে আরও একটি স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব জমা পড়ল বিধানসভায়। এই নিয়ে গত প্রায় ২ বছরে মোট সাতটি প্রিভিলেজ জমা পড়েছে বিরোধী দলনেতার নামে। সপ্তম প্রিভিলেজটি শনিবার জমা দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। শুক্রবারই এই প্রিভিলেজ জমা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। এই প্রিভিলেজ সম্পর্কে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রিভিলেজ কমিটি তদন্ত করে আগামী অধিবেশনে রিপোর্ট জমা দেবে। কেন এই স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দিলেন পার্থ? শুক্রবার ঘটনার সূত্রপাত। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বক্তা হিসাবে বলতে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি প্রশ্ন করেন, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণীরা বিজেপি না তৃণমূল করেন? পাল্টা পার্থ ভৌমিক বলেন, “আমি তখন সম্মানীয় বিরোধী দলনেতাকে জিজ্ঞাসা করি আপনি যখন তাঁদের সম্পর্কে বলছেন, আপনি কি দয়া করে বলতে পারবেন শিশিরবাবু কোন দলের? তার উত্তরে উনি আমাকে চিৎকার করে বলেন, এক মাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।” এরপরই পার্থ ভৌমিক বলেন, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ নিয়ে প্রিভিলেজ আনবেন। এদিন পার্থ ভৌমিকের প্রিভিলেজ হাউজে আসার পরে কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৭তম বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মোট সাতটি স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমটি এনেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দ্বিতীয়টি এনেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তৃতীয়টি এনেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। চতুর্থটি এনেছিলেন সৌমেন রায়। পঞ্চমটি এনেছিলেন তন্ময় ঘোষ। ষষ্ঠটি এনেছিলেন পার্থ ভৌমিক। সপ্তমটিও তিনিই আনলেন।
এ দিন পার্থ ভৌমিক বলেন, “সম্মানীয় বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে আমাকে বলেন আমাকে এক মাসের মধ্যে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন। অথচ আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে, যাতে এক মাসের মধ্যে জেলে ঢোকানো যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করেছি এটা আমার নিরাপত্তা অভাবের একটা কারণ হতে পারে।”
যদিও এ নিয়ে বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, “আমাদের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ আনা হয়েছে। কিন্তু উনি তো আজ বিধানসভায় উপস্থিত নেই। তবে শুভেন্দু অধিকারী কখনওই জেলে ভরার কথা বলেননি। আমি পাশে ছিলাম। তা সত্ত্বেও পার্থ ভৌমিক এই প্রিভিলেজ আনলেন। অথচ উনিই বিরোধী দলনেতার বাবার নাম তুলে বলেছেন। আমরাও প্রিভিলেজ আনব।”