TET: ভুয়ো কললেটার নিয়ে পর্ষদে হাজির ইন্টারভিউ দিতে, কাগজ দেখাতেই হতবাক আধিকারিকরা

TET: শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে। প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়।

TET: ভুয়ো কললেটার নিয়ে পর্ষদে হাজির ইন্টারভিউ দিতে, কাগজ দেখাতেই হতবাক আধিকারিকরা
ভুয়ো কললেটারের অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2023 | 10:59 PM

কলকাতা: ভুয়ো কললেটার নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে (Primary Interview) ইন্টারভিউ দিতে হাজির চাকরিপ্রার্থী। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইহই কাণ্ড শনিবার। অভিযুক্তের নাম প্রীতম ঘোষ। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম ছিল না প্রীতমের। অথচ কললেটার নিয়ে শনিবার ইন্টারভিউ দিতে চলে আসেন তিনি। সূত্রের খবর, পর্ষদের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জানতে চান, তাঁর নাম কখন ডাকা হবে। এরপরই তালিকা মিলিয়ে দেখা যায় কোথাও তাঁর নাম নেই। সিস্টেমে চেক করেও পাওয়া যায়নি নম্বর। তাতেই সন্দেহ হয়। এরপর দেখা যায় কললেটারটিই ভুয়ো। ওই চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে আরও ২ জন ছিলেন। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতম ঘোষের পাড়ার পরিচিত এক কাকার কাছ থেকে তিনি ইন্টারভিউ লেটার পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কললেটার তিনি পান বলেও সূত্রের দাবি।

শনিবার টেটের চতুর্থ দফার ইন্টারভিউ চলছিল পর্ষদে। প্রায় ৪৫০ জনকে এদিন ডাকা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের সঙ্গেই পর্ষদ অফিসে প্রবেশ করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। কললেটার যাচাই করে দেখা যায় সেটি ভুয়ো। এরপরই তাঁকে আটকে তাঁর সঙ্গে আসা মেসোমশাইকে আসল অ্যাডমিট কার্ড দেখাতে বলেন। তখন ওই ব্যক্তি জানান, পাড়ার এক কাকার কাছে সেটি আছে। তিনিও এখানেই ছিলেন। বিষ্ণু মাহাত নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকেও আনা হয়। এরপর সামনে আসে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি। অভিযোগ, চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল প্রীতমের বাবার কাছ থেকে। যিনি চেয়েছিলেন, তিনি প্রীতমের সঙ্গে বিষ্ণুকে পাঠিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রীতম ও বিষ্ণুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রীতমের মেসোমশাই এসবের কিছু জানতেন না বলে জানা গিয়েছে।

ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার বলেন, “১১টা ১৫ নাগাদ একজন ক্যান্ডিডেট আসে। মেইন গেটেই ব্যাপারটা ধরা পড়ে। নিরাপত্তারক্ষী দেখেন, যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ওই কাগজে আছে তার সঙ্গে আমাদেরটা মিলছে না। আজ যাদের ডেকেছি তাদের মধ্যে ওর নাম নেই। তারপরই সন্দেহ হয়। আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরি প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। তাদের ডেটাবেস ঘেঁটে দেখা গেল প্রীতম ঘোষ কেউ নেই। সন্দেহ তাতে জোরাল হয়। এরপর ওর রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করে দেখি অন্যজনের নাম। তাতেই বুঝি এটা ভুয়ো। যেখানে প্রার্থীর পরিচয়ই ভুল, সেখানে তো আর দেখার কোনও ব্যাপারই নেই।”