কলকাতা: নিয়োগের অপেক্ষাতে কেটে গিয়েছে প্রায় ১৩ বছর। গত বৃহস্পতিবার সেই চাকরি প্রার্থীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এখন আর কোনওভাবেই সময় নষ্ট করতে চান না দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিক চাকরি (Primary Recruitment) প্রার্থীরা। দ্রুত প্যানেল প্রকাশের দাবিতে তাঁরা এখনও অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (DPSC) যেন দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেয়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য ডিপিএসসির দাবি, তাঁরা কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই শিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখেছে।
২০০৯ থেকে ২০২২। দীর্ঘ ১৩ বছরের লড়াই। দীর্ঘদিনের বিক্ষোভ, অবস্থানের পরও মেলেনি নিয়োগ। প্রকাশ হয়নি প্যানেল। এরমধ্যে বৃহস্পতিবারই হাতে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। সেই নির্দেশ নিয়েই সংসদের কাছে দ্রুত প্যানেল প্রকাশের দাবি তুলেছেন প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিপিএসসির সামনে তিনদিন ধরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেছি আমরা। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সেটা জানাক ডিপিএসসি। আদালত দু’সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে। কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা চান যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হোক। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, আগে চাকরির খোঁজ নিতে গেলে কোর্ট অর্ডার চাইতেন চেয়ারম্যান। অরিন্দম মণ্ডল নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমাদের বারবার বলা হয়েছে অর্ডার নেই। এবার আমরা যখন কোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে এলাম, তখন ওরা আর কোনও কথাই বলতে চাইছে না।”
ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অজিতকুমার নায়েক টিভি নাইন বাংলাকে জানান, কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই শিক্ষা দফতরে চিঠি লেখা হয়েছে ডিপিএসসির তরফে। তাঁর কথায়, “প্যানেল অ্যাপ্রুভ হয়েই আছে। নির্দেশ পেলেই প্যানেল প্রকাশিত হবে।” তবে প্যানেল প্রকাশের দিনক্ষণ না জেনে অবস্থান তুলতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা। যতক্ষণ না তালিকা টাঙানো হবে, ততক্ষণ বালিগঞ্জে ডিপিএসসির দফতরের সামনেই বসে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রাত আড়াইটে নাগাদ অবস্থানমঞ্চে ঘুরে যান ডিসি রিজার্ভ ফোর্স শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী। তবে অবস্থানে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা।