কলকাতা: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে ‘সৎ রঞ্জন’ বাগদার চন্দন মণ্ডল গ্রেফতার হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। আপাত দৃষ্টিতে সাদামাটা চেহারার চন্দন এই নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে হাত পাকাতে নেমে ক্ষমতার অলিন্দে যাতায়াত শুরু করেন বলে অভিযোগ। ‘সৎ রঞ্জন’-এর ‘অসৎ কীর্তি’তে ঘুম উড়েছে চাকরি প্রার্থীদের। চাকরির জন্য আলাদা আলাদা রেট চার্ট ছিল তাঁর। সূত্রের দাবি, প্রাইমারিতে ১২ থেকে ১৫ লক্ষতে রফা হতো, আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে তা ছিল ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। রঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার পর ফের বিস্ফোরক প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। জিপে করে কলকাতায় টাকা আসত। এমনকী মন্ত্রীর বাড়িতে ভেট হিসাবে মাছও পাঠানো হতো বলে দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার।
চাকরি ‘চুরি’র নেটওয়ার্কের অন্যতম পান্ডা হিসাবে বাগদার চন্দন মণ্ডলের নাম তুলে আনেন উপেন বিশ্বাস। লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনে চন্দন যুক্ত ছিলেন বলেই অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় পাঠাতেন চন্দন? বিরোধীদের অনেকে বলেন টাকা আসত কলকাতায়। এবার সেই কথা উপেন বিশ্বাসের গলায়। তাঁর মতে, টাকা আসত জিপে করে। সৎ রঞ্জনের সঙ্গে উপরমহলের যোগাযোগ এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, বাড়ির প্রয়োজনে আসত মাছও। প্রভাবশালী নেতাদের আনাগোনাও ছিল বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে।
উপেন বিশ্বাস বলেন, “বলেছে মন্ত্রীর স্ত্রীর ইয়ের সময় বাড়িতে মাছ পর্যন্ত দিয়ে এসেছে। তাহলে তা যে আর কারও বাড়িতে যাবে না কেউ বলতে পারে? আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেলেও অধিকাংশ তো নগদে টাকা দিচ্ছে। সেই হিসাব কোথায়? তার হদিশ হবে? নগদ লেনদেনের তো কোনও হিসাব রইল না। কলকাতায় জিপ ভরে টাকা আসত। সেটা কোথায় গেল?” একটা বড় চক্র এখানে কাজ করেছে এবং খুব পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। একইসঙ্গে উপেন বিশ্বাসের বক্তব্য, “এটা রাম, শ্যাম, যদু, মধু দ্বারা হবে না। একেবারে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
কলকাতা: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে ‘সৎ রঞ্জন’ বাগদার চন্দন মণ্ডল গ্রেফতার হতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। আপাত দৃষ্টিতে সাদামাটা চেহারার চন্দন এই নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে হাত পাকাতে নেমে ক্ষমতার অলিন্দে যাতায়াত শুরু করেন বলে অভিযোগ। ‘সৎ রঞ্জন’-এর ‘অসৎ কীর্তি’তে ঘুম উড়েছে চাকরি প্রার্থীদের। চাকরির জন্য আলাদা আলাদা রেট চার্ট ছিল তাঁর। সূত্রের দাবি, প্রাইমারিতে ১২ থেকে ১৫ লক্ষতে রফা হতো, আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে তা ছিল ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। রঞ্জন গ্রেফতার হওয়ার পর ফের বিস্ফোরক প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। জিপে করে কলকাতায় টাকা আসত। এমনকী মন্ত্রীর বাড়িতে ভেট হিসাবে মাছও পাঠানো হতো বলে দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার।
চাকরি ‘চুরি’র নেটওয়ার্কের অন্যতম পান্ডা হিসাবে বাগদার চন্দন মণ্ডলের নাম তুলে আনেন উপেন বিশ্বাস। লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনে চন্দন যুক্ত ছিলেন বলেই অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় পাঠাতেন চন্দন? বিরোধীদের অনেকে বলেন টাকা আসত কলকাতায়। এবার সেই কথা উপেন বিশ্বাসের গলায়। তাঁর মতে, টাকা আসত জিপে করে। সৎ রঞ্জনের সঙ্গে উপরমহলের যোগাযোগ এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, বাড়ির প্রয়োজনে আসত মাছও। প্রভাবশালী নেতাদের আনাগোনাও ছিল বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে।
উপেন বিশ্বাস বলেন, “বলেছে মন্ত্রীর স্ত্রীর ইয়ের সময় বাড়িতে মাছ পর্যন্ত দিয়ে এসেছে। তাহলে তা যে আর কারও বাড়িতে যাবে না কেউ বলতে পারে? আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেলেও অধিকাংশ তো নগদে টাকা দিচ্ছে। সেই হিসাব কোথায়? তার হদিশ হবে? নগদ লেনদেনের তো কোনও হিসাব রইল না। কলকাতায় জিপ ভরে টাকা আসত। সেটা কোথায় গেল?” একটা বড় চক্র এখানে কাজ করেছে এবং খুব পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। একইসঙ্গে উপেন বিশ্বাসের বক্তব্য, “এটা রাম, শ্যাম, যদু, মধু দ্বারা হবে না। একেবারে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”