কলকাতা: এবার নজরে গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। যে অ্যাকাউন্টে নমিনি হিসাবে নাম রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এই হৈমন্তীর নাম প্রথম সামনে আনেন কুন্তল ঘোষ। এরপরই হৈমন্তীর গতিবিধি খতিয়ে দেখতে গিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য় তদন্তকারীদের হাতে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, নিজের নাম পরিবর্তন করে গোপাল দলপতি আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হয়েছিলেন। সেই নামে তিনি প্যান কার্ডও তৈরি করেন বলেই সূত্রের দাবি। শুধু তাই নয়, গোপাল ও হৈমন্তীর নামে একাধিক সংস্থাও রয়েছে। এরইমধ্যে অন্যতম আরমান ট্রেডিং। মুম্বই-যোগও মিলেছে এই দু’জনের সঙ্গে। এবার জানা যাচ্ছে, গোপালের ব্যাঙ্কের নমিনিতে নাম হৈমন্তীর। অথচ হৈমন্তীর মায়ের দাবি, গোপালের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে মেয়ের। প্রশ্ন উঠছে, যদি হৈমন্তী ও গোপালের ডিভোর্সই হয়ে থাকে, তা হলে নমিনির নাম কেন এখনও বদল হল না? ইতিমধ্যেই একটি পাসবুকও সামনে এসেছে। যা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
বিভিন্ন সংস্থা, সেখানে যৌথ পার্টনারশিপের অভিযোগ রয়েছে হৈমন্তী ও গোপাল দলপতির। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে বড়বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নামে গোপাল দলপতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানে নমিনিতে নাম রাখেন হৈমন্তীর।
কিন্তু এখন তাহলে কেন অ্যাকাউন্টে হৈমন্তীর নাম? তাহলে কি যে ডিভোর্সের দাবি করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন? এখনও গোপাল-হৈমন্তীর যোগাযোগ রয়েছে? এই উত্তরগুলো এখনও স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না। তবে, গোপাল দলপতির বড়বাজারের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হৈমন্তীর নাম থাকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আলাদা গুরুত্ব দিয়েই সেটি দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও এদিন টিভি নাইন বাংলাকে গোপাল দলপতি জানান, তাঁদের ডিভোর্স প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে আইনি কিছু বিষয় বাকি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কুন্তলই এ ধরনের তথ্য সামনে আনছে। হৈমন্তীকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন গোপাল।