Recruitment Scam: আরও ৪০ ওএমআর শিটে কি কারচুপি? ১৮৩ জনের পর আর কত ‘অযোগ্য’র নিয়োগ, উঠছে প্রশ্ন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 04, 2022 | 7:43 PM

SSC: সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ছিলেন এসএসসির প্রতিনিধি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধি, মামলাকারীদের আইনজীবী, সিবিআইয়ের প্রতিনিধি।

Recruitment Scam: আরও ৪০ ওএমআর শিটে কি কারচুপি? ১৮৩ জনের পর আর কত অযোগ্যর নিয়োগ, উঠছে প্রশ্ন
ভুয়ো নিয়োগের জেরে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ যোগ্যদের।

Follow Us

কলকাতা: নবম দশমে ইতিমধ্যেই ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’র নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তাঁদের চাকরি ‘ভুল সুপারিশে’ হয়েছে বলে এসএসসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে। এরইমধ্যে আরও ৪০ জনের চাকরি আদালতের স্ক্যানারে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অপটিকাল মার্ক রেকগনেশন বা ওএমআর শিটে কারচুপির আশঙ্কা নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে প্রশ্ন উঠেছে। দায়ের হয়েছে মামলা। নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে এই ৪০টি ওএমআর শিটের ‘বৈধতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ৪০টি নিয়োগও বেআইনি সুপারিশে হয়েছে। এই নিয়ে গত শুক্রবার এসএসসির দফতরে একটি বৈঠকও হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ছিলেন এসএসসির প্রতিনিধি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধি, মামলাকারীদের আইনজীবী, সিবিআইয়ের প্রতিনিধি। এই বৈঠকের রিপোর্ট আগামী সপ্তাহেই আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। আশঙ্কা যদি সত্য়ি হয়, যদি এই ৪০টি নিয়োগও বেআইনিভাবে হয়, সেক্ষেত্রে নবম-দশমে ২২৩ (১৮৩+৪০) জনের বেআইনি নিয়োগ সামনে আসবে।

সূত্রের খবর, এই ৪০ জনের মধ্যে বাংলার শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন, ইতিহাসের শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন, জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক ৩ জন, ইংরাজি শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন, ভৌতবিজ্ঞানের ১ জন, ভূগোলের ১ জন। এর আগে ১৮৩ জনে বেআইনি নিয়োগের যে তালিকা কমিশন প্রকাশ করে, তাতে রয়েছেন এই তালিকায় ২১ জন বাংলার শিক্ষক রয়েছেন, ৫৭ জন রয়েছেন ইংরাজির শিক্ষক, ৩০ জন ভূগোলের শিক্ষক, ১৭ জন ইতিহাস, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক, ১৮ জন অঙ্কের শিক্ষক, ১৮ জন ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক।

শুক্রবারের বৈঠকে মামলাকারীদের তরফে ছিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন,  “মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশ মোতাবেক আজ মিটিং হল। যে তথ্য় সিবিআই দিয়েছিল এবং এসএসসির সার্ভারে যেটা তার তুলনামূলক একটা চার্ট দিয়েছে। সেই মতোই দেখা হল। পরদিন রিপোর্ট পেশ করব। সিবিআই প্রায় সবটাই করে ফেলেছে। আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।”

Next Article